পশ্চিম তীরে সহিংসতাকারী ৪ ইসরায়েলির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পশ্চিম তীর
ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে পাহারা দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনা। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ৪ ইসরায়েলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বিভিন্ন ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাইডেন প্রশাসন বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এক বিবৃতিতে বলেন, কেউ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করলে বা ভয় দেখালে কিংবা তাদের সম্পত্তি দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের আদেশ হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'আজকের সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য সমানভাবে শান্তি স্থাপন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।'

এর আগে, গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, যারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্টের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসা নীতি প্রযোজ্য হবে।

জাতিসংঘের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গত প্রায় চার মাসে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের ইসরায়েলিদের হামলা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ৪ ইসরায়েলির মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং মার্কিন নাগরিকরাও তাদের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবেন না।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন-ডেভিড চাই, আইনান তানজিল, শালম জিকারম্যান ও ওয়াইনন লেভি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, ডেভিড চাইয়ের নেতৃত্বে একটি হামলায় এক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক মারা যান। হামলায় যানবাহন ও ভবনে আগুন দেওয়া হয় এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করা হয়।

আইনান তানজিল পাথর ছুঁড়ে এক ফিলিস্তিনি কৃষক ও ইসরায়েলি কর্মীদের আহত করেছিলেন।

শালম জিকারম্যানকে একটি ভিডিওতে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি কর্মীদের ওপর হামলা করতে দেখা যায়। তিনি দুই ইসরায়েলি কর্মীকে আহত করেন।

ওয়াইনন লেভির নেতৃত্বে পশ্চিম তীরের সেটেলাররা ফিলিস্তিনি এবং বেদুইনদের ওপর হামলা করেছিল, তাদের খেত পুড়িয়ে দিয়েছিল ও সম্পদ নষ্ট করেছিল।

এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের ইঙ্গিত প্রকাশ পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

এক পৃথক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, 'পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে আরও কাজ করতে হবে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।'

তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে, যার মধ্যে আছে দুই-রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে সমাধান এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সমান প্রতিশ্রুতি।'

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

2h ago