গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত, লেবাননে রাতভর হামলা

২২ অক্টোবর পশ্চিম তীরের জেনিন রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলই বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই মসজিদটি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২২ অক্টোবর পশ্চিম তীরের জেনিন রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলই বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই মসজিদটি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আজ ভোরেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া রাতভর দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়েছে দেশটি।

চলমান সংঘাত পর্যালোচনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার শীর্ষ জেনারেলসহ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

আজ সোমবার রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে। 

আল জাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে একটি আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। বিধ্বস্ত ভবন থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের আল-শুহাদা এলাকার ওই ভবনে রোববার রাতে এ হামলা চালানো হয়।

হামলায় আশপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে।

গতকাল রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৫১ জনে। সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি। ২১২ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান গতকাল রোববার গভীর রাতে ফোনে কথা বলেছেন। তারা গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস অপরাধ বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। হামাসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দক্ষিণ গাজা উপত্যকার বেকারি থেকে রুটি কেনার অপেক্ষায় আছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ গাজা উপত্যকার বেকারি থেকে রুটি কেনার অপেক্ষায় আছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স

ইতোমধ্যে ইসরায়েল গাজা সীমান্তে বিপুলসংখ্যক ট্যাংক ও সেনা জমায়েত করেছে। হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজায় স্থল হামলা শুরু হতে পারে যে কোনো সময়।

নাম না প্রকাশের শর্তে ইরানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, ইরানের কৌশল হবে হিজবুল্লাহর মতো বাহিনীগুলোকে সীমিত আকারে ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো। তবে ইরান এই সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হবে না।

এদিকে, সোমবার ভোরে ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর দুই অবস্থানে বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এই দুই অবস্থান থেকে ইসরায়েলের দিকে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল হিজবুল্লাহ। তারা হিজবুল্লাহ অন্যান্য অবস্থানেও হামলা চালানোর কথা জানায়, যার মধ্যে আছে নিরাপত্তা চৌকি ও কমপাউন্ড।

 

Comments

The Daily Star  | English

Fulfilling sky-high expectations Yunus govt’s key challenge

Says ICG report on completion of interim govt’s 100 days in office

2h ago