আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

টস জিতে ‘সম্ভবত’ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাটলার

মুম্বাইয়ে ছিল অসহনীয় গরম। দিনের আলোয় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কন্ডিশনে ভীষণ সংগ্রাম করতে হয় ইংলিশ বোলারদের।

টস জিতে ‘সম্ভবত’ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাটলার

মুম্বাইয়ে ছিল অসহনীয় গরম। দিনের আলোয় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কন্ডিশনে ভীষণ সংগ্রাম করতে হয় ইংলিশ বোলারদের।
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে ইংল্যান্ড আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচে এটি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তৃতীয় হার। অসহায় আত্মসমর্পণের পর ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার বলেছেন, টস জিতে তার আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটি 'সম্ভবত' ভুল ছিল।

গতকাল শনিবার মুম্বাইয়ে ছিল অসহনীয় গরম। দিনের আলোয় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কন্ডিশনে ভীষণ সংগ্রাম করতে হয় ইংলিশ বোলারদের। তাদের ওপর চড়াও হয়ে স্কোরবোর্ডে রেকর্ড ৩৯৯ রান জমা করে প্রোটিয়ারা। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো দলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি। এরপর ফ্লাডলাইটের নিচে বোলিংয়ে নেমে তোপ দাগেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা। মাত্র ২২ ওভারেই ১৭০ রানে অলআউট হয়ে ২২৯ রানে হারে ইংল্যান্ড। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে রানের হিসাবে এটি তাদের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড।

ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাটলারের কাছে জানতে চাওয়া হয় টস জিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কিনা। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, সম্ভবত। আপনি সব সময়ই পেছনে ফিরে তাকিয়ে নিজের সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করবেন। অবশ্যই, তাপের কারণে এখানকার কন্ডিশন ভীষণ কঠিন। আমরা মাঠে ছেলেদেরকে দেখে সেটা বুঝেছি। সবাইকে ভীষণ সংগ্রাম করতে হয়েছে।'

একই প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'আমি এখনও মনে করি, যদি লক্ষ্যটা ৩৪০-৩৫০ রানের হতো এবং আমরা একটা ভালো শুরু পেতাম, তাহলে এটা একটা দারুণ রান তাড়ার ঘটনা হতে পারত। তবে হ্যাঁ, গরমের কথা মাথায় রেখে আমাদের সম্ভবত প্রথমে ব্যাট করা উচিত ছিল।'

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার পথ ভীষণ কঠিন হয়ে গেছে। এখনও স্বাগতিক ভারত ও রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। তাই আর কোনো ভুল করার সুযোগ দেখেন না ইংলিশ দলনেতা, 'এই অবস্থায় আমাদের আর কোনো ভুল করার সুযোগ নেই। আমাদের এখান থেকে সম্ভবত প্রতিটি ম্যাচই জিততে হবে। এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যেই আমরা নিজেদেরকে দেখতে পাচ্ছি।'

ইংল্যান্ডের আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তে কিছুটা অবাক ছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামও, 'আমরা জানি, ইংল্যান্ড লক্ষ্য তাড়া করতেই পছন্দ করে। (টস জিতলে) আমরা আগে ব্যাটিংই করতাম। একারণে খুশি যে সেটা দারুণভাবে করতে পেরেছি। আমরা ব্যাটিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি এবং আমার মনে হয়, যখন সূর্যের তাপ আর ছিল না, তখন সেই আবহাওয়াটা আমাদের দীর্ঘদেহী গতিময় বোলারদের অনেক সাহায্য করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago