ভারত না পারলে আইপিএল আয়োজনে আগ্রহী ইংল্যান্ড

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের জেরে স্থগিত হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসর। এই টুর্নামেন্টের বাকি অংশ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে আয়োজন করতে আগ্রহী ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটে। ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) গতকাল শুক্রবার এক সপ্তাহের জন্য সবচেয়ে লাভজনক ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে এখনও ১৬টি ম্যাচ বাকি থাকায় এবং বিদেশি খেলোয়াড়রা নিজ নিজ দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করায় আইপিএল পুনরায় চালু হওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড ইতোমধ্যেই তার সম পর্যায়ের বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কাছে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই এক সপ্তাহের বিরতির পর যদি ভারত আইপিএল পুনরায় শুরু করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে একটি বিকল্প হতে পারে ইংল্যান্ডে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করা। ইসিবির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য সময় হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বর। তবে এই মুহূর্তে ইসিবি ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে কোনো সক্রিয় আলোচনা চলছে না।
এর আগে চারবার পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ভারতের বাইরে আয়োজিত হয়েছে আইপিএল। ২০০৯ সালে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের কারণে পুরো টুর্নামেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৪ সালে একই কারণে প্রথম ২০টি ম্যাচ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গোটা আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরের বছর একই কারণে এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় অংশ সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জম্মু থেকে সড়কপথে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধর্মশালায় গত বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের আইপিএল ম্যাচটি মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই দিনে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু শহরে বিস্ফোরণের খবর আসে। দেশটির সামরিক বাহিনী জানায়, বিতর্কিত ওই অঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ঘটনার পরদিনই বিসিসিআই আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা করেছে।
লিগ পর্বের ১২টিসহ এবারের আইপিএলে মোট ১৬টি ম্যাচ বাকি আছে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, প্রথম পর্বে আহমেদাবাদে তিনটি, লখনউ ও বেঙ্গালুরুতে দুটি করে এবং হায়দরাবাদ, দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বাই ও জয়পুরে একটি করে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো গড়ানোর কথা ছিল হায়দরাবাদ ও কলকাতার মাঠে।
চলমান যুদ্ধাবস্থার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। শুক্রবার প্রাথমিকভাবে বাকি আটটি ম্যাচ আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) টুর্নামেন্টটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে।
Comments