শঙ্কা দূর করে সাকিবের কঠোর অনুশীলন
বাম পায়ের পেশির টানে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে তিনি খেলবেন কিনা তা স্পষ্ট করতে পারছিল না টিম ম্যানেজমেন্টও। তবে মঙ্গলবার পুনেতে বাংলাদেশ অধিনায়ককে পাওয়া গেল ফুরফুরে মেজাজে। টানা ৪৫ মিনিট নেটে সময় কাটিয়েছেন তিনি।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর দুইটা থেকে ছিল বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। শুরুতে গোল হয়ে দলীয় একটি সভা হয়ে যায় মাঠে। সাকিবই সেখানে প্রধান বক্তা। সতীর্থদের উদ্দেশে লম্বা বক্তব্য দেন তিনি। শেষ দিকে এনালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনকে গোল চক্রের ভেতর শুয়ে কিছু একটা অভিনয় করে দেখাতেই সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন।
দেখে মনে হতে পারে ভীষণ সুখে আছে বাংলাদেশ দল। ফুটবল দিয়ে ওয়ার্মআপের বেশ কিছুটা সময় পর সাকিব নামেন ব্যাট-প্যাড নিয়ে। প্রস্তুতি শুরুর আগে মিনিট পনেরো প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
ব্যাটিং অনুশীলনে নেমে শুরুতে কিছুক্ষণ নকিং করেন সাকিব। নকিং শেষ করে ঢুকেন স্পিনারদের নেটে। সেখানে সব রকম বল সামলে চেষ্টা চালান বড় শটের। কিছু শট ব্যাটে-বলে সংযোগও হয় বেশ ভালো। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়াতে গিয়ে আবার পরাস্তও হন বার কয়েক। স্পিন শেষ করে পেসারদের নেটে আসেন বাঁহাতি ব্যাটার। তাকে বল করেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ আর তানজিম হাসান সাকিব।
বাড়তি বাউন্সারে পুল শট সংযোগ করতে ভুগলেও বেশিরভাগ সময় সাবলীল দেখা গেছে তাকে। বোলারদের খেলে আবার থ্রো ডাউনেও নিজেকে ঝালাই করে নেন তিনি।
সব শেষ করে বিশ্রাম নেওয়ার পর প্যাড পরা অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে রানিং করেন সাকিব। মাংসপেশিতে টান থাকায় তার রানিং করা নিয়েই ছিল যত চিন্তা। শুরুতে কম গতিতে দৌড়ালেও পরে গতি বাড়াতে পেরেছেন তিনি। তবে এ সময় ব্যথায় মুখ কুঁচকাতেও দেখা গেছে তাকে।
চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট করার সময় পা পায়ের পেশিতে টান পড়ে সাকিবের। ফিল্ডিংয়ে নামলেও তিনি ছিলেন স্লিপে। যদিও ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন সাকিব।
খেল শেষে এমআরআই স্ক্যান করা হয় সাকিবের পায়ে। কিন্তু রিপোর্টে কি এসেছে তা জানানো হচ্ছিল না। আগের দিনও দলের হয়ে কথা বলতে এসে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবে খেলা, না খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলিয়ে পুরো বিশ্বকাপে তাকে হারানোর ঝুঁকি নিতে চান না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবারের অনুশীলন অবশ্য বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে দিতে পারে স্বস্তি।
Comments