সরকারের ভর্তুকি পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ, ডলার,
রয়টার্স ফাইল ফটো

বাংলাদেশে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশন জ্বালানি ও সারের ভর্তুকি কমানোর বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ভর্তুকি বেড়েছ।

গতকাল সোমবার আইএমএফ মিশনের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা আইএমএফ মিশনকে জানিয়েছেন- বর্তমানে সারে ভর্তুকি কমানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই, তবে জ্বালানি খাতে ধীরে ধীরে ভর্তুকি কমানোর পরিকল্পনা আছে।

গতকালের বৈঠকে আইএমএফ মিশন গত অর্থবছরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সার খাতে ভর্তুকি বাবদ বকেয়া ৫০ হাজার কোটি টাকার বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা হবে তাও জানতে চেয়েছিল।

সরকার চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি হিসেবে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সফররত আইএমএফ মিশন গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিয়ার রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠকে আইএমএফ মিশন জানতে চায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কবে তাদের ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা জানান, তারা সম্প্রতি ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত বিভিন্ন বছরের ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তারা আরও জানিয়েছেন, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এসময় আইএমএফ মিশন ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশে প্রয়োজনে পরিসংখ্যান ব্যুরোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ারও প্রস্তাব করেছে।

সফররত আইএমএফ মিশন গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গেও বৈঠক করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

2h ago