কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে পৃথক ২ সমাবেশ

লালন পরিষদ ইউএসএর আয়োজনে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

কবি তারাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

লালন পরিষদ ইউএসএর আয়োজনে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজা ও রাত সাড়ে ৮টায় জ্যামাইকায় স্টার কাবাবের সামনে পৃথক দুটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য প্রবাসী অংশ নেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভেতরবন্দ ইউনিয়নের গোদ্দারেরপাড় এলাকার নিজ বাড়িতে কবি রাধাপদ রায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।

নিউইয়র্কের সমাবেশে বক্তারা বলেন, কবি রাধাপদ রায় মানবতার কথা বলেন, আধ্যাত্মিকতা চর্চা করেন। তাঁর ওপর হামলা কেন? বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিকে বুকে ধারণ করেন, এটি তার অপরাধ? 

তারা বলেন, 'এই হামলা কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হয়নি, হয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর। এটিই যেন শেষ হামলার ঘটনা হয়ে থাকে।'

লালন পরিষদের সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সংস্কৃতিজন গোপাল স্যানালের সঞ্চালনায় ডাইভারসিটির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্যাহ, কবি বেলাল বেগ, মুক্তিযোদ্ধা-শিল্পী তাজুল ইমাম, সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী, রাজনীতিবিদ নুরুল আমিন বাবু, অভিনেতা-নির্দেশক খায়রুল আলম পাখি, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মনিকা রায়, সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন সাগর, সাংস্কৃতিক সংগঠক আসলাম খান প্রমুখ।

হামলায় ক্ষতবিক্ষত রাধাপদ রায়ের পিঠের ছবি এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন সমাবেশ অংশগ্রহণকারীরা।

জ্যামাইকার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্র নাথ রায়, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোরশেদ আলম প্রমুখ।

উভয় সমাবেশে বক্তারা রাধাপদ রায়ের ওপর হামলাকারী সব আসামিকেও গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম তার বক্তৃতায় আহত রাধাপদ রায়ের চিকিৎসার জন্য সহায়তা তহবিলে সবার অংশগ্রহণ কামনা করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago