নিউইয়র্কের মসজিদে শুক্রবার ও রমজানে লাউডস্পিকারে আজান প্রচার করা যাবে

নিউইয়র্কের অন্যতম বৃহৎ মসজিদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার। ছবি: রয়টার্স
নিউইয়র্কের অন্যতম বৃহৎ মসজিদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ শুক্রবারের জুম্মার নামাজ এবং রোজার মাসে মাগরিবের নামাজের সময় মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান প্রচারের অনুমতি দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে যেকোনো সময় এবং রোজার মাসে মাগরিবের নামাজের সময় কোনো ধরনের পূর্ব-অনুমতি ছাড়াই লাউডস্পিকারে আজান প্রচার করা যাবে।

নতুন এই নির্দেশনা দিয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি)। সংস্থাটি জানায়, নিউইয়র্কের কিছু মহল্লায় জোরালো শব্দের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হলেও উল্লেখিত সময়ের আজানের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে না।

নিউইয়র্কের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে জানা গেছে, মেয়র এরিক অ্যাডামস ও এনওয়াইপিডির কমিশনার এডওয়ার্ড এ. কাবানের যৌথ উদ্যোগে এই নীতিমালা চালু হচ্ছে।

নিউইয়র্কের মুসলিম নেতারা এই নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এতে তারা তাদের ধর্মবিশ্বাস আরও স্বাধীনভাবে ও সহজে চর্চা করতে পারবেন।

নিউ ইয়র্কের ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি ইমাম শামসি আলি বলেন, 'এটা নিউইয়র্কের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় বিজয়। এর ফলে আমরা কোনো ধরনের হেনস্তা বা বৈষম্যের ভয় না করে আমাদের ধর্মবিশ্বাসের চর্চা অব্যাহত রাখতে পারব।'

এই নির্দেশনাকে বিশ্লেষকরা নিউইয়র্কের আরও মুসলিম-বান্ধব হওয়ার অব্যাহত উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই শহরে নতুন করে অসংখ্য মসজিদ ও ইসলামিক স্কুল চালু করা হয়েছে এবং মুসলিমদের জন্য হালাল খাবার খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি সহজ করার জন্যেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনেক বছর ধরে নিউইয়র্কের মুসলিম সম্প্রদায় এ শহরের 'শব্দ আইন' পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে মুসলিম নেতারা নগর প্রশাসকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। তারা দাবি করেন, এই শব্দ আইন মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে।

২০২২ সালে এই মামলার নিষ্পত্তি হয় এবং নগর প্রশাসন পূর্ব অনুমতি ছাড়া আজান প্রচার করা যাবে, এমন নতুন নীতি প্রণয়ন করতে রাজি হয়।

তবে মুসলিম নেতারা বলছেন, এখানেই শেষ নয়, নিউইয়র্কের মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনা আরও সহজ করার জন্য তারা কাজ চালিয়ে যাবেন।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago