তিস্তা তীরবর্তী ৫ জেলায় বন্যার শঙ্কা
লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা—দেশের উত্তরাঞ্চলীয় এই পাঁচ জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
আজ বুধবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (সিডব্লিউসি) বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতল (উচ্চতা) দ্রুত বাড়ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গজলডোবা পয়েন্টে পানির সমতল বিগত মধ্যরাত থেকে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। সেখানে বর্তমান পানি সমতল ১১০ দশমিক ৩০ মিটার। দোমুহুনী পয়েন্টে সকাল থেকে পানি সমতল প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে ওই পয়েন্টে পানি সমতল ৮৫ দশমিক ৯৫ মিটার এবং এই বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে কমছে। আজ সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ৫১ দশমিক ৩৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে। তবে আজ সকাল থেকে তা আরও বাড়তে পারে এবং বিকেল নাগাদ তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত উঠতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ২৮ দশমিক ১৫ মিটার। বর্তমানে তা বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচে আছে। তবে আগামীকাল ভোর নাগাদ তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং পরবর্তীতে সর্বোচ্চ পানি সমতলের (৫২ দশমিক ৮৪ মিটার) কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
বর্তমানে কোনো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না বলেও পাউবোর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বগুড়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ বিকেল থেকেই তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করবে এবং উত্তরাঞ্চলে তিস্তার অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।'
Comments