কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট

নদ-নদীর পানি বাড়ছে, চিন্তা বাড়ছে মানুষের

লালমনিরহাটের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ছবি: এস দিলীপ রায়

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ ২৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

কিন্তু কয়েকদিন ধরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ছিল ২২ দশমিক ৬৭ মিটার (বিপৎসীমা ২৬ দশমিক ৬৯ মিটার), চিলমারী পয়েন্টে ২০ দশমিক ৮০ মিটার (বিপৎসীমা ২৩ দশমিক ২৫ মিটার), কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ছিল ২৩ দশমিক ২৫ মিটার (বিপৎসীমা ২৬ দশমিক ০৫ মিটার), পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ২৭ দশমিক ৩৭ মিটার (বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ০৬ মিটার) ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল ২৮ দশমিক ২৯ মিটার (বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ মিটার)।

লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩২ মিটার, যেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। অন্যদিকে, শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ছিল ২৮ দশমিক ৫০ মিটার (বিপৎসীমা ৩০ দশমিক ৮৭ মিটার)।

লালমনিরহাট সদরের খুনিয়াগাছ গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী নিজাম উদ্দিন বলেন, 'কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তিস্তার পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আরও দ্রুত বাড়ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।'

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ গ্রামের হামজা মিয়া (৬০) বলেন, 'মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্রে হঠাৎ করে পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে পানি নেমে আসছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। যদি এভাবে পানি বাড়তে থাকে, তাহলে বন্যা ঠেকানো কঠিন হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'হঠাৎ প্লাবন হলে নদীর পাড়ে থাকা মানুষজন বিপদে পড়ে যাব।'

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এখনই বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

লালমনিরহাটের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, 'তিস্তার পানি কিছুটা বেড়েছে, তবে বিপৎসীমার অনেক নিচে আছে। তাই এখনই আমরা বন্যার কোনো আশঙ্কা দেখছি না।'

একই কথা জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান।

তার ভাষ্য, 'নদীর পানি কিছুটা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু এখনো সবগুলো পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Trend of Provision Shortfall in the banking sector

Provision shortfall at banks widens six times

The provision shortfall in the banking sector has increased more than six times to Tk 170,655 crore over the past year, Bangladesh Bank data show, exposing the fragile financial health of commercial lenders due mainly to large-scale scams and irregularities during the previous regime.

9h ago