অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ফি বাড়ানোর দাবি

অস্ত্রোপচার বন্ধের হুমকি রাজশাহীর বেসরকারি ক্লিনিক মালিকদের

রাজশাহী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজশাহীতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ফি দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিকরা।

বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিকরা অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের দাবির বিপরীতে যুক্তি দিয়ে বলেছে, দাবি মেনে নিলে অস্ত্রোপচারের খরচ বেড়ে যাবে যা শেষ পর্যন্ত রোগীদেরকেই বহন করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক, হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান শাহ বলেন, 'এর ফলে অনেক মানুষের, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসা খরচ সাধ্যের বাইরে চলে যাবে।'

তিনি বলেন, 'বুধবারের মধ্যে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ফি নিয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো না গেলে আমাদের অবশ্যই অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দিতে হবে।'

গত ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস রাজশাহী শাখা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে পারিশ্রমিকের নতুন তালিকা পাঠালে দুই পক্ষের মধ্যে দরকষাকষি শুরু হয়।

পরদিন ক্লিনিক মালিকদের নেতারা অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং নতুন ফি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।

গত ৬ সেপ্টেম্বর অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ফি ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যানেসথেসিওলজিস্টরা ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ ফি বাড়ানোর দাবি তোলেন।

অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের দাবির প্রতিবাদে রোববার ক্লিনিক মালিক সমিতি তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে এবং আল্টিমেটাম শেষে বৃহস্পতিবার থেকে অস্ত্রোপচারের বন্ধের হুমকি দিয়েছে।

ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনকে লেখা এক চিঠিতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট নেতারা অস্ত্রোপচার বন্ধের হুমকিকে 'অযৌক্তিক' বলে অভিহিত করেছেন।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. খিজির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২০১৬ সাল থেকে তাদের পারিশ্রমিকে পরিবর্তন হয়নি।

তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমরা দরকষাকষি করতে পারিনি। এখন ফি বাড়াতে হবে।'

ক্লিনিক মালিক সমিতির প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, 'ক্লিনিক মালিক সমিতি আমাদের ফি নির্ধারণ করতে পারে না। ক্লিনিকগুলো যেভাবে নিজেদের ফি নির্ধারণ করে, সেভাবে আমরা আমাদের ফি নির্ধারণ করব।'

আজ মঙ্গলবার অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক জামিল রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. খিজির হোসেনের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, 'চিকিৎসার খরচ বহন করেন রোগী, ক্লিনিক মালিকরা নয়। কাজেই, এই বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে অস্ত্রোপচার বন্ধের হুমকি অযৌক্তিক।'

অন্যদিকে ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান শাহের ভাষ্য, 'অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের দাবি মেনে নিলে তাদের ফি সার্জনদের সমান হবে। তখন সার্জনরা আরও বেশি দাবি করবেন এবং অস্ত্রোপচারের খরচও বাড়বে।' 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

7h ago