বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে না চাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেলে রোগীর স্বজনকে মারধর
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইয়াজউদ্দিন আলী প্রামানিক বাবু (৪৭) বুকে তীব্র ব্যথা নিয়ে রোববার বিকেল ৫টায় ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে।
চিকিৎসক তার হৃদরোগ শনাক্ত করেন এবং জরুরিভাবে একটি ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন।
ওই চিকিৎসক রোগীর ভাগ্নেকে বলেন, ইনজেকশনটির দাম প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তারা সেটি দিতে চাইলে তিনি কোম্পানির লোক ডাকবেন।
রোগীর ভাগ্নে এতে অস্বীকৃতি জানায় এবং চিকিৎসককে বলেন যে, হাসপাতালকে ওই ওষুধ সরবরাহ করতে হবে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসক রোগীর ভাগ্নে দেলোয়ারকে বের করে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের নির্দেশ দেন। কয়েকজন কর্মী তাকে মারধর শুরু করলে, দেলোয়ার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
পরে সুযোগ বুঝে তিনি রোগীকেও হাসপাতাল থেকে বের করে আনেন।
পরে দেলোয়ার হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের হাসপাতালে ফিরে যেতে বলেন।
হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন পরিচালক।
পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা আবার রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে ফেরত যান।
যোগাযোগ করা হলে কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক জাহিদুস সাঈদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালে নির্ধারিত ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তবে এর চেয়ে ভালো ওষুধ বাইরে পাওয়া যায়।'
'অন-ডিউটি ডাক্তারের উচিত ছিল রোগীর স্বজনদের বিষয়টি জানানো,' যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন এবং ওই রোগীর যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।
মন্তব্যের জন্য কর্তব্যরত ওই চিকিৎসকের নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Comments