নয়াদিল্লিতে হাসিনা-বাইডেন আন্তরিক আলাপচারিতা

নয়াদিল্লিতে হাসিনা-বাইডেন
নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের সাইড লাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুশল বিনিময় করেন। এসময় জো বাইডেন শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে সেলফি তোলেন। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ নয়াদিল্লির ভারত মন্ডপম ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন কনভেনশন সেন্টারে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনস্থলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আন্তরিক আলাপচারিতা করেছেন।

বাইডেনের সঙ্গে তাদের আলাপচারিতা কীভাবে ঘটে সেই মুহূর্তের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, যিনি জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।

'এটি শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন এবং মধ্যাহ্নভোজের পরে ছিল। আমরা মূল প্রদর্শনী হলের বাইরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ধীরে ধীরে হাঁটছেন এবং বাইডেন অন্য কোনো নেতার সঙ্গে কথা বলছেন', পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল রাতে নয়াদিল্লি থেকে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে এসব কথা জানান।

মোমেন বলেন, 'এরপর তিনি ব্লিঙ্কেনের কাছে যান এবং তাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চান।'

'অ্যান্টনি বললেন, 'কেন নয়?'। সঙ্গে সঙ্গে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং পুতুল (সায়মা ওয়াজেদ) এগিয়ে আসেন এবং আমরা কথা বলি', বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কী ছিল সেই কথোপকথন?

মোমেন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বাইডেনকে বলেছেন, তিনি তার পরিবারকে হারিয়েছেন এবং বাংলাদেশের জনগণই তার একমাত্র চিন্তা। তিনি বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে সবকিছু করতে চান।'

'জবাবে বাইডেন শেখ হাসিনাকে বলেন, তিনি জানেন যে তিনি ভালো কাজ করছেন এবং উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছেন।'

'আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। বাইডেন জানতে চেয়েছেন ভালো সময় কোনটি? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি আমাদের শীতকাল, যা যুক্তরাষ্ট্রে বসন্তের মতো। বাইডেন বলেন, তিনি বাংলাদেশ সফরের জন্য একটি অনুকূল সময় বের করবেন,' বলেন মোমেন।

অটিজম অ্যাক্টিভিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুল জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন এবং অটিজম নিয়ে তিনি কী কাজ করছেন। বাইডেনের সঙ্গে নিজের বিজনেস কার্ডও শেয়ার করেছেন তিনি।

'বাইডেন তখন বলেন, সায়মা ওয়াজেদ যেন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং অবশ্যই তার সঙ্গে দেখা করেন। বাইডেন খুবই আন্তরিক ছিলেন', বলেন মোমেন।

এরপর বাইডেন সেলফি তোলেন।

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবিগুলো তুলেছেন।'

প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলা এ ধরনের কথোপকথনের অর্থ কি ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলা, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সম্পর্ক বরফ নয়, বরং উষ্ণ ছিল।

তিনি বলেন, 'আপনারা মিডিয়াই বলছেন, সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। আসলে তা নয়। আজকের কথোপকথনও তারই প্রমাণ।'

মোমেন জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বিগত ৫০ বছরের সম্পর্ক চমৎকার এবং তারা আগামী ৫০ বছরের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক প্রত্যাশা করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus begins meeting political leaders to discuss pressing issues

Yunus is scheduled to hold another meeting with leaders of different Islamist parties after this

53m ago