ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রস্তুতির নথি ফাঁসে বাইডেনের উদ্বেগ, তদন্তে পেন্টাগন

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল যে পরিকল্পনা করছে সে সংক্রান্ত গোপন গোয়েন্দা নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

পেন্টাগন জানিয়েছে ওয়াশিংটন থেকে অতি গোপনীয় নথি ফাঁসের এই ঘটনাটি তারা তদন্ত করছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এই তথ্য জানিয়েছেন।

কিরবি সাংবাদিক বলেছেন, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে যে গোপন নথি ফাঁস হয়েছে তা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হয়েছে কি না সে সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসন নিশ্চিত নয়। তবে প্রেসিডেন্ট নিজে এই তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিরক্ষা দপ্তর তদন্ত করছে। এই নথি কীভাবে ফাঁস হয়েছে তা তদন্তে উঠে আসবে বলে আমি নিশ্চিত। জনসমক্ষে গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ায় প্রেসিডেন্টসহ আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি হওয়ার কথা নয়, এটি অগ্রহণযোগ্য।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যা-পিয়েরে বলেছেন, বিষয়টি 'খতিয়ে দেখা হচ্ছে' এবং প্রেসিডেন্ট সরকারি তদন্ত সংস্থাগুলোর ওপর সম্পূর্ণ আস্থাশীল।

ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে ১৫ ও ১৬ অক্টোবরের তারিখ দেওয়া রয়েছে। তবে অনলাইনে এসব ছড়িয়ে পড়তে থাকে গত শুক্রবার।

এসব নথি 'অতি গোপনীয়' বলে চিহ্নিত করা আছে। এমনও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে এগুলো শুধুই যুক্তরাষ্ট্র এবং এর 'ফাইভ আইস' মিত্র দেশ—অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য দেখতে পারবে।

নথিগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির কথা রয়েছে। একটিতে বলা হয়, এ নথি তৈরি করেছে 'ন্যাশনাল জিওস্প্যাশিয়াল–ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি' (মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীন একটি সংস্থা)। নথির তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনার আওতায় ইসরায়েল তার অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করছে।

আরেকটি নথিতে বলা হয়, এটি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীন আরেক গোয়েন্দা সংস্থা 'ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি'র সংগ্রহ করা। এ নথিতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালানোর কথা বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ মহড়া ইরানে দেশটির হামলা চালানোর প্রস্তুতিরই অংশ।

বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ইসরায়েলকে ঘনিষ্ঠ মিত্র মনে করলেও যুক্তরাষ্ট্র যে দেশটির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালায় এই নথি থেকে তা স্পষ্ট হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago