বেবুনের হামলার শিকার চিতাবাঘ

শিকারী যখন শিকার--চিতাবাঘকে ধাওয়া করছে বেবুন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিণশট
শিকারী যখন শিকার--চিতাবাঘকে ধাওয়া করছে বেবুন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিণশট

বিস্ময়কর ও বৈচিত্র্যময় প্রাণিজগতের বিভিন্ন বিচিত্র ঘটনা প্রায়ই আমাদের কল্পনাকে ছাড়িয়ে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় ৫০টি বানর সদৃশ প্রাণী 'বেবুন' দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি চিতাবাঘের ওপর হামলা চালিয়েছে।

আজ বুধবার এ বিষয়টি জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

ভিডিওতে ঠিক সে মুহূর্তে ধারণ করা হয় যখন শিকারি, শিকারে পরিণত হয়। একটি প্রায় খালি সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটলে সেখানে পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ইউটিউব চ্যানেল 'লেটেস্ট সাইটিংস' এ ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পোস্টের বর্ণনা অনুযায়ী জানা গেছে, ভিডিওটি প্রথম শেয়ার করেন রিকি দা ফনসেকা।

ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার পাশ দিয়ে একটি চিতাবাঘ হেঁটে যাচ্ছে। তার উদ্দেশ্য সম্ভবত শিকার খুঁজে পাওয়া।

পরের দৃশ্যে দেখা যায়, এক দল বেবুন রাস্তার দিকে এগিয়ে আসছে। চিতাবাঘটি বেবুনদের দিকে ছুটে যায়। হয়তো সে ভেবেছিল, ভয় পেয়ে বানরের মতো প্রাণীগুলো পালিয়ে যাবে। কিন্তু তার সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।

শুরুতে বেবুনগুলো পালানোর কথা ভাবলেও হঠাত বুঝতে পারে, তারা সংখ্যায় বেশি এবং চাইলেই প্রত্যুত্তর দিতে পারে। বেবুনগুলো ফিরে আসে এবং চিতাবাঘটিকে ধাওয়া করে। তারা চিতাবাঘের বিরুদ্ধে নির্দয় হামলা চালায়। এতে তারা তাদের পূর্ণ শক্তিমত্তা ও গতিবেগের ব্যবহার দেখায়।

চিতাবাঘ সাহসিকতার সঙ্গে বেবুনদের মোকাবিলা করলেও, বিড়াল-শ্রেণীভুক্ত এই রাজকীয় প্রাণী খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ইতোমধ্যে সড়কে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি থেমে থাকে। সবগুলো প্রাণী এক পর্যায়ে রাস্তা ছেড়ে গেলে আবারো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এই পোস্টটি ১৫ আগস্ট ইউটিউবে শেয়ার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটিতে ১ হাজার ৭০০ জন লাইক দিয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার বার এটি দেখা হয়েছে। ভিডিওতে ৪৭৬টি কমেন্টও পড়েছে। বেশিরভাগ কমেন্টদাতা প্রাণিজগতের এই বিস্ময়কর ঘটনায় আমোদিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
fire at Secretariat

Secretariat fire sabotage or accident still not known: Fire service DG

Muhammad Jahed Kamal, director general of the Fire Service and Civil Defence, today said the cause of the devastating fire at Building No. 7 of the Bangladesh Secretariat still remains unknown

1h ago