সামরিক অভিযানের আশঙ্কায় নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা

হাজার হাজার মানুষ রাজধানী নিয়ামের এক স্টেডিয়ামে জমায়েত হয়ে বহির্বিশ্বের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য জান্তা সরকারকে অভিনন্দন জানায়। ছবি: রয়টার্স
হাজার হাজার মানুষ রাজধানী নিয়ামের এক স্টেডিয়ামে জমায়েত হয়ে বহির্বিশ্বের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য জান্তা সরকারকে অভিনন্দন জানায়। ছবি: রয়টার্স

পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আফ্রিকার দেশ নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লকের (ইকোওয়াসের) কাছ থেকে আসা সামরিক অভিযানের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

গতকাল রবিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

সম্প্রতি নাটকীয় সেনা অভ্যুত্থানের পর জেনারেল আবদুরাহমানে তচিয়ানি নিজেকে নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা দেন। ওমর তচিয়ানি নামে পরিচিত এই জেনারেলের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্যরা ২৬ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমকে বন্দী করেন।

ইকোওয়াস সামরিক জান্তাকে রোববারের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাজুমকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করার সময়সীমা বেঁধে দেয়।

হাজার হাজার মানুষ রাজধানী নিয়ামের এক স্টেডিয়ামে জমায়েত হয়ে বহির্বিশ্বের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য জান্তা সরকারকে অভিনন্দন জানায়।

উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাজুমকে পুনর্বহাল করা না হলে নাইজারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার সম্ভাবনা নিয়ে ইকোওয়াসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন।

জান্তার প্রতিনিধি রোববার সন্ধ্যায় দেশটির জাতীয় টিভিতে বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি বলেন, 'সামরিক অভিযানের হুমকির মধ্যে নাইজারের আকাশসীমা আজকে থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হল।'

তিনি জানান, আফ্রিকার ২ দেশে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে দেশগুলোর নাম জানাননি তিনি।

'নাইজারের সশস্ত্র বাহিনী, আমাদের সব ধরনের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী, সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষের অবিচল সমর্থনে আমরা আমাদের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করতে প্রস্তুত', যোগ করেন তিনি।

পরবর্তী উদ্যোগ কী হতে পারে, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইকোওয়াস কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে এক মুখপাত্র জানান, দিনের শেষ নাগাদ এ বিষয়ে বক্তব্য জানানো হবে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

3h ago