সাভারে বিএনপির ৭৩ নেতাকর্মীর নামে পুলিশের ৩ মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২০০

বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: স্টার

সাভারে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ৩ মামলায় ৭৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে সাভার মডেল থানায় ১টি ও আশুলিয়া থানায় ২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমিনবাজার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপি নেতা ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি কফিল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সালাউদ্দিন বাবু, বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমসহ ৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ এ মামলা করেছেন।

আশুলিয়ায় রশায়ন মোড় এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং নবীনগরের এলাকায় বাস ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে।

আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল বিকেলে আশুলিয়ার রশায়ন মোড় এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে একটা অটোরিকশা পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।'

উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, নবীনগরের নিরিবিলি এলাকায় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।'

পুলিশের মামলায় প্রধান আসামি করার বিষয়ে ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওখানে আমরা কেউ ছিলাম না। একটা ভিডিওতে দেখলাম ওখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হাজার খানেক নেতাকর্মী ছিল। আসলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই ওখানে ককটেল ফাটিয়েছে। পুলিশ তাদের ধরলো না। উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা একটি মামলা করলো। এটি একটি গায়েবি মামলা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।'

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago