ডিসেম্বরে চালু হবে সাগরজলে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে

ডিসেম্বরে চালু হবে সাগরজলে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সমুদ্রজলে নির্মিত এই রানওয়েটি হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে।

রানওয়ে পরিষেবা চালু হলে, বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো বড় বিমানগুলো কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।

ইতোমধ্যে, বেবিচক প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ বিমানবন্দরটিকে একটি আঞ্চলিক বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে বিশদ নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চীনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিইসিসি) সঙ্গে চুক্তি করে। এই কোম্পানি চীনের আরেক প্রকৌশল কোম্পানি চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরোকে (সিওয়াইডব্লিউসিবি) সঙ্গে নিয়ে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করছে। এর আগে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছিল ৯ হাজার ফুট।

গত ১৪ জুলাই সিসিইসিসির সাইট ম্যানেজার লি গুয়াংকি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা। চলতি বছরের মধ্যে আমরা রানওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আশা করছি।'

আমরা নির্ধারত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে আছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত ৭৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।'

বাকি কাজ আগামী বছরের ১০ মে শেষ হবে বলে জানান তিনি।

১৯৫৬ সালে একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার বিমানবন্দর। ৪টি এয়ারলাইন্স এখন এ বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে; যেটি কক্সবাজার শহর থেকে দেড় কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে ৩৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

প্রথম পর্যায়ে রানওয়েটি ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুট এবং ১২০ ফুট থেকে ২০০ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে সরকার ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। যার লক্ষ্য ছিল বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে নির্ঝঞ্ঝাট ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া।

 

 

সংক্ষেপিত: মূল প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন Runway in the sea to be active by December

 

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

1h ago