টেকনাফে আরও ৮ জনকে অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে বন বিভাগের নার্সারিতে কর্মরত ১৯ শ্রমিককে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও আট জনকে অপহরণ করা হয়েছে।
অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অভিযান চালাচ্ছে।
টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শোভন কুমার সাহা জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে দুই সিএনজি চালকসহ অন্তত সাত জনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং গতরাতে এক মুদি দোকানদারকে অপহরণ করা হয়েছে।
আজ অপহৃত সাত জনের নাম-ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, অপহরণকারীরা দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকায় এবং বন্দুকের মুখে সিএনজি চালকসহ লোকজনকে অপহরণ করে।
গতরাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডাইল এলাকার মুদি দোকানি জসিম উদ্দিনকে ২০-২৫ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত তাকে দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে বলেও জানায় পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা শোভন সাহা জানান, এসব অপহরণের পেছনে টেকনাফের পাহাড়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা লোকজনকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি।
গতকাল সকালে একই ইউনিয়নের মোচনী এলাকায় বন বিভাগের নার্সারিতে কর্মরত অবস্থায় অপহৃত ১৯ শ্রমিককে উদ্ধারে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
অপহৃতদের মধ্যে ১৩ জন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এবং ছয় জন বাংলাদেশি। তাদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের অপহরণ করেছে।
গতকাল দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (টেকনাফ ও উখিয়া) মো. মনিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী এলাকায় অপহরণের এ ঘটনা ঘটে।
Comments