ভোটার উপস্থিতি কম, আমরাও দেখতে পাচ্ছি: রাশেদা সুলতানা
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম হলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টাবে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'ভোটার উপস্থিতি আমরাও দেখতে পাচ্ছি কম। কারণ হিসেবে আমার ব্যক্তিগত মতামত, এটা খুবই স্বল্প সময়ের নির্বাচন; সংসদের মেয়াদ খুবই স্বল্প সময়ের, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এটা একটা কারণ হতে পারে।'
'এছাড়া ওটা একটা অভিজাত এলাকা। এই ভোটের ব্যাপারে ওনারা আগ্রহী হয়তো নাও হতে পারেন, আমি ঠিক জানি না কী হয়েছে। এটা আমরা জানতে পারব আরও পরে। ভোট আগে হোক, ফলাফল হোক, কত শতাংশ হয় দেখা আমরা। গ্রহণযোগ্য পারসেন্ট হতেও তো পারে! আর আমি যখন গেছি তখন টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। এটাও হতে পারে, বৃষ্টি কারণে ওই সময় ভোটাররা আসেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়বে বলে আমাদের ধারণা,' বলেন তিনি।
ভোটগ্রহণ শুরু ৩ ঘণ্টার মাথায় 'সুষ্ঠু পরিবেশ নেই' অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তরিকুল ইসলাম, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাশেদা সুলতানা বলেন, 'আমরা তদন্ত করব, সত্যি কি না মিথ্যা দেখব। অভিযোগ কিন্তু নানা জন, নানাভাবে আনতে পারে। অভিযোগ এলেই সত্য বা মিথ্যা—তা কিন্তু না। সেটার সত্যতা যাচাই করা দরকার। সত্যতা যাচাইয়ের পরে নিশ্চয়ই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।'
'এত অল্প সময়ের মধ্যে ওনি কেন বর্জন করলেন আমি সেটা বুঝতে পারলাম না। ওনি তো পরিবেশটা দেখতে পারতেন, সারা দিন ভোট আছে, ৪টা পর্যন্ত। কন্টিনিউ করলে কী হতো? চলেও যেতে (পাস করতে) পারত। দিনের শুরুতেই "আমি ন্যায্য অবস্থাটা পাচ্ছি না" বললে মুশকিল তো একটু হয়। আমার মনে হয়, ভোট ৪টা পর্যন্ত, ওনি দেখতে পারতেন ভোটটা ওনার চাওয়া মতো হচ্ছে কি না,' বলেন তিনি।
হিরো আলমের অভিযোগ প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'আমাদের কাছে অভিযোগ ওইভাবে আসেনি। যদি সেটা হয়েও থাকে ওনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানাতে পারতেন। জানিয়েছেন কি না তাও জানি না। আমরা খোঁজ-খবর নেব, যদি ঘটনা ঘটে থাকে...এখন ভোট চলছে তো! ভোট বন্ধ হয়ে গেছে এ রকম তো নেই! হয়তো ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য কিছু...জানি না কী হয়েছে। আমরা অবশ্যই এটার তথ্য নেব এবং ব্যবস্থা নেব।'
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। এই হিসেবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সেই সময় ধরে পরবর্তী ৫ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আসনটিতে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি প্রায় ৫ মাসের জন্য সংসদ সদস্য হবেন।
Comments