নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয়: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, 'নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব নয়। সংবিধানের জনবিরোধী ধারা শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই সংশোধন করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। গত ১৭ বছর যা চলছে, তাকে গণতন্ত্র বলা যায় না; বরং এটি ফ্যাসিবাদের উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এটি স্বৈরতন্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ, ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনই এই সংকটের সমাধান দিতে পারে।'

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

খুলনা বিভাগীয় বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

গণতান্ত্রিক পন্থায় সকল প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্ভব উল্লেখ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, 'একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ গঠিত হবে, তারাই ড. ইউনূসের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে পারবে।'

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা এক সময় যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, এখন তেমনভাবে নেই। কেউ বলছেন সংস্কার, কেউ বলছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন। সামনে আমাদের কঠিন সময় পার করতে হবে। সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।'

মানবিক করিডোর চালুর প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই করিডোর দিয়ে অস্ত্র যাবে, আরাকান আর্মি শক্তিশালী হবে এবং আমাদের স্বাধীনতা হুমকিতে পড়বে। শেখ হাসিনার সময় তো এমন কোনো করিডোরের কথা ওঠেনি! তাহলে সন্দেহ থেকেই যায়। যদিও আমরা সন্দেহ করতে চাই না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেতে চাই না। কিন্তু যখনই নির্বাচনের কথা বলি, তারা বলেন, সময় লাগবে। কত সময় লাগবে? জুন না ডিসেম্বর—পরিষ্কার করে বলুন। ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণ কাকে ক্ষমতায় বসাবে তা আমরা জানি না।'

এই বিএনপি নেতা বলেন, '১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা এখন স্বাধীনতা অস্বীকার করছে। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের চেতনা বোধের দিন। অথচ জামায়াত একে 'পাকিস্তান ভাগ' বলছে। এটি তাদের উদ্ধত আচরণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

12h ago