ফারুকির শিকার নাইম-শান্ত, বাংলাদেশের বাজে শুরু

ছবি: এএফপি

সামনে সহজ লক্ষ্য। নেই কোনো চাপ। তারপরও হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হলো বাজে। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই সাজঘরে ফিরে গেলেন নাইম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনকেই বোল্ড করলেন আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, জবাব দিতে নামা টাইগারদের সংগ্রহ ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৪৩ রান।

সিরিজে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। তৃতীয় ওভারেই বাঁহাতি নাইমকে ফেরান ফারুকি। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। ৮ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি নাইম। আগের ম্যাচেও প্রায় একই কায়দায় ফারুকির শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেদিন তার সংগ্রহ ছিল ২১ বলে ৯ রান।

২ রানে প্রথম উইকেট হারানো স্বাগতিকরা ২৮ রানে ফের ধাক্কা খায়। সপ্তম ওভারে ফারুকিকে চার মারার পরের বলেই বোল্ড হন শান্ত। ড্রাইভ করার চেষ্টায় গড়বড় করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। শান্তর উইকেট নিয়ে জোরালো উদযাপন করেন ফারুকি। কারণ দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ আগেই হয়েছিল কথার লড়াই। তবে শেষ হাসিটা হাসেন ফারুকিই। বাজে একটি সিরিজ কাটানো বাঁহাতি শান্ত এবার আউট হন ১৫ বলে ১১ রানে। আগের দুই ওয়ানডেতে যথাক্রমে ১২ ও ১ রান করেছিলেন তিনি।

ভালো একটি জুটি পাওয়ার লক্ষ্যে অধিনায়ক লিটন দাস ও অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের দিকে তাকিয়ে আছে টাইগাররা। ক্রিজে ওপেনার লিটন আছেন ২৭ বলে ২১ রানে। সাকিব খেলছেন ১০ বলে ৮ রান নিয়ে।

এর আগে আফগানদের গুঁড়িয়ে দিতে আগুন ঝরা বোলিং করেন শরিফুল ইসলাম। একাদশে ফিরেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখেন বাঁহাতি পেসার। তার তোপে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। এরপর তাসকিন আহমেদ আর তাইজুল ইসলামও জ্বলে ওঠায় প্রতিরোধ গড়ার উপায় খুঁজে পায়নি হাশমতউল্লাহ শহিদির দল।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং নৈপুণ্য উপহার দেন শরিফুল। ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ২১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তিনি। এই সংস্করণে ৩১ ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো ৪ উইকেটের দেখা পান তিনি। তার আগের সেরা ছিল ২০২২ সালে প্রভিডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৪ রানে ৪ উইকেট। শরিফুলের মতোই একাদশে ফেরা তাসকিন ও তাইজুল যথাক্রমে ২৩ ও ৩৩ রানে ২ উইকেট করে পান।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে আজমতউল্লাহ ওমরজাই কেবল পাল্টা লড়াই চালান। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটিতে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৭১ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১ চার ও ৩ ছক্কা।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago