বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান

সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। সেখানে লড়াইটাও ঠিকঠাক করতে পারেনি টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এক অর্থে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে দলটি। শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব যে লড়াই করলেন তাতে হারের ব্যবধানটাই কমেছে কেবল। রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ মূলত ম্যাচে হেরেছে ইনিংসের মাঝ পথেই।

শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে তারা। জবাবে ১৯ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলিং করার সময় চোটে পড়ায় ব্যাটিং করতে পারেননি শরিফুল ইসলাম।

এই জয়ে এক ম্যাচে হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিকরা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তারা জিতেছিল ৩৭ রানে। আগামী রোববার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

ব্যাটিং স্বর্গে পাকিস্তানকে বড় পুঁজি আসে সাহিবজাদা ফারহান ও হাসান নাওয়াজের ঝড়ো ফিফটি এবং মোহাম্মদ হারিসের দারুণ এক ইনিংসে। যদিও এক পর্যায়ে মনে হয়েছিলো ২৩০ রান ছাড়িয়ে যাবে তাদের পুঁজি। পরে বল হাতে জ্বলে ওঠেন বোলাররা। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন আবরার আহমেদ। ১৯ রানের খরচায় নিয়েছেন ৩টি উইকেট। 

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারেই আসে ৩২ রান। কিন্তু তারপরও পাওয়ার পেলতে আসে ৫৪ রান, হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। পাওয়ার প্লের পরের ওভারে আবরার দেন জোড়া ধাক্কা। ফলে চার ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

সেই বিপদ থেকে দলকে আর উদ্ধার করতে পারেননি কোনো ব্যাটার। যদিও শেষ দিকে দারুণ কিছু শট খেলে ফিফটি তুলে নেন তানজিম। কিন্তু ১০ ওভারের মধ্যেই ৭টি উইকেট হারিয়ে আগেই ম্যাচ খুইয়ে বসে টাইগাররা। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তানজিম। ৩১ বলের ইনিংসে মারেন ১টি চার ও ৫টি ছক্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন তানজিদ হাসান। ১৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া ১৭ বলে ২২ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তিন ব্যাটার ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। যদিও দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় দলটি। তৃতীয় রান নিতে গিয়ে পিছলে পড়ে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন সাইম আইয়ুব। তবে হারিসকে নিয়ে সাহিবজাদার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি দলটির। পাওয়ার প্লেতেই ৬৭ রান তোলেন তারা।

দ্বিতীয় উইকেটে ১০২ রান যোগ করেন সাহিবজাদা ও হারিস। হারিসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান। এরপর রিশাদের শিকার হয়ে দ্রুত বিদায় নেন সাহিবজাদাও। তবে হাসান নাওয়াজ নেমে আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। তাতে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি পেয়ে যায় দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন সাহিবজাদা। ৪১ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ২৬ বলের ৫১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। ২৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় হারিসের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান।  

Comments

The Daily Star  | English

Wasa water stinks

However, the state-run agency claims the water is of standard quality when it leaves their facilities

12h ago