দেশে যে ১৩ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সবচেয়ে কম
বাংলাদেশে ৭ বিদেশি ও ৬ দেশি ব্যাংকসহ মোট ১৩ ব্যাংকে বর্তমানে নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) বা খেলাপি ঋণের অনুপাত ৩ শতাংশেরও কম।
এই ১৩ ব্যাংক ভালো কর্পোরেট গভর্নেন্স ও ব্যাংকিং কার্যক্রমে যথাযথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে ঋণ খেলাপির অনুপাতকে ১০ শতাংশের নিচে তথা ৮ শতাংশে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
৭ বিদেশি ব্যাংকগুলো হলো—স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, এইচএসবিসি, সিটি ব্যাংক এনএ, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশ, উরি ব্যাংক ও কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার খেলাপি ঋণের সর্বনিম্ন অনুপাত শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
পুরনো ২ বেসরকারি ব্যাংক—ইস্টার্ন ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে নতুন ৪ ব্যাংক হচ্ছে মিডল্যান্ড ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংক।
ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১ দশক ধরে ইস্টার্ন ব্যাংক খেলাপি ঋণের অনুপাত গড়ে ৩ শতাংশের নিচে রাখতে সফল হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'কোনো ইচ্ছাকৃত খেলাপি ব্যক্তি যাতে আবারও ঋণ নিতে না পারেন সেজন্য ঋণগ্রহীতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা খুবই সতর্ক থাকি।'
ইবিএলের খেলাপি ঋণের অনুপাত ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহীর মতে, ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ কঠোরভাবে বিশ্লেষণ করে ঋণ দেওয়া হয়।
'গ্রাহকের কারখানা, ব্যবসা, আর্থিক প্রতিবেদন ইত্যাদি জানতে ব্যাংকের বিশেষায়িত বিভাগ আছে। তারা নিয়মিত এটি তদরকি করে। তাই আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি জানতে পারি,' যোগ করেন তিনি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার আরও বলেন, 'এরপরও কোনো ঋণ শ্রেণিবদ্ধ হলে ইবিএল তা পুনরুদ্ধার ওপর জোর দেয়।'
'যেকোনো ব্যবসায়ীই লোকসানে পড়তে পারেন। আমরা সাধারণত তাদের পাশে দাঁড়াই। কখনো কখনো গ্রাহকদের পক্ষ থেকে পুনঃঅর্থায়ন ও ঋণ ব্যবস্থাপনা করে তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য সময় দিই, যাতে তারা আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন,' যোগ করেন তিনি।
তবে ব্যবসায় লোকসান সব সময় খেলাপি ঋণের কারণ নয় বলে মনে করেন তিনি।
Comments