দেশের অর্থনীতি নিয়ে যে ভয় ছিল তা কেটে গেছে: অর্থমন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল, জাইকা, ইউক্রেন যুদ্ধ, আইএমএফ, মূল্যস্ফীতি,
সচিবালয়ে জাইকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশের অর্থনীতি নিয়ে যে ভয় ছিল তা এখন কেটে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিছির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যদি বৈশ্বিক অর্থনীতির বিষয়টি বিবেচনা করি, তাহলে মানতে হবে আমরা যা অর্জন করেছি তা অন্যদের চেয়ে অনেক ভালো।'

আইএমএফের ঋণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আইএমএফ থেকে আমরা যে ঋণ নিচ্ছি তা ২ মাসের রেমিট্যান্সের সমান।'

তাহলে এই ঋণের প্রয়োজন ছিল কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা বুঝতে পারিনি যুদ্ধ কতদিন চলবে। যেভাবে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছিল, তাতে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এখন আমাদের কোনো ভয় নেই। এখন সব ঠিক আছে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল, জাইকা, ইউক্রেন যুদ্ধ, আইএমএফ, মূল্যস্ফীতি,
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাইকার এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিছির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'সারা বিশ্বে এখন মূল্যস্ফীতি বেশি। আর আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। তারচেয়ে কিন্তু বাড়েনি। মানুষ কী কেউ না খেয়ে আছে? আমরা মূল্যস্ফীতিকে শুধু টাকার অঙ্কে কমাচ্ছি না। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় এটা সবচেয়ে ভালো উপায়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যাদের কাছে খাবার নেই তাদের খাবার দিতে হবে। আমরা তাদের কম মূল্যে খাবার দিচ্ছি। তাদের ভ্যাট মাফ করতে হবে, ইনকাম ট্যাক্স কম নিতে হবে। সেভাবেই আমরা কাজ করছি।'

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'সারা পৃথিবীতে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমরা পৃথিবীর বাইরে না। আমাদের হাতে কিছু করার নেই। আমাদের হাতে যা আছে, যে সামর্থ্য আছে তা ব্যবহার করছি। আর তাতে আমরা বেশ ভালো অবস্থানে আছি।'

তিনি বলেন, 'জাইকা যেসব প্রজেক্টে অর্থায়ন করছে সেগুলো কোনটা কোন পর্যায়ে আছে তা দেখতে এসেছে। সাধারণত মাল্টি ডোনাররা তাদের প্রজেক্ট দেখতে আসে। তাদের বাজেট সহায়তাও আছে। আমাদের বাজেটের সঙ্গে সমন্বয় করে কিছু কিছু জায়গায় তারা নিজেরা সাহায্য করতে পারবে। নতুন কিছু প্রজেক্ট আসবে। নতুনভাবে যেগুলো আসবে সেগুলোর বেশিরভাগ প্রযুক্তি বিষয়ক। আমাদের বাজেটের নতুন স্লোগান ছিল, সেটা বাস্তবায়নে কিছু কাজ তাদের থেকে করিয়ে নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

Political parties agree on enacting new law for presidential clemency

However, there was no consensus on the suggestion to form a six-member board to execute the clemency process

37m ago