জাইকার কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. আকিহিকো তানাকা সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক আর্থিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. আকিহিকো তানাকা আজ সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই কথা বলেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য জাপান সরকার ও জাইকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'দিনে দিনে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠেছে। আমার বিশ্বাস, জাইকা ভবিষ্যতের বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিবেচনা করে, প্রয়োজনীয় বাজেট সহায়তাসহ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরও অর্থায়ন বাড়াবে।'

তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে জাপান প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দিয়েছে। সেটি কোভিড-১৯ মহামারি প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে তৈরি সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।'

বাজেট সহায়তা হিসেবে পাওয়া অর্থ সরকার বাজেটের যেকোনো খাতে খরচ করতে পারে।

সাক্ষাৎকালে ড. আকিহিকো তানাকা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জাইকা প্রেসিডেন্ট বলেন, জাইকার সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সূচকে বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের থেকে বর্তমানে অনেক এগিয়ে রয়েছে। সহযোগিতার সফল বাস্তবায়নের কারণে এ মুহূর্তে জাপানের সরকারি উন্নয়ন সহযোগিতার তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশর অবস্থান অন্যতম। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে উন্নয়নের একটি নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গত ২০১৪ সালে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন, আর এবারের সফরের বাংলাদেশ তাকে অভিভূত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ইয়ো হায়াকাওয়াসহ জাইকা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago