আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি

আইএমএফ জানিয়েছে, এই ঋণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি কমাবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ, ডলার,
রয়টার্স ফাইল ফটো

পাকিস্তানের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ঋণ চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফ জানিয়েছে, এই ঋণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি কমাবে।

আজ শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফ বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে পুরাতন চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই চুক্তির খবর এলো। এই চুক্তি পাকিস্তানকে কিছুটা স্বস্তি দেবে, কারণ দেশটি তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। একইসঙ্গে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে।

চুক্তির বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার একটি টুইট করেছেন। এর আগে তিনি বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, খুব শিগগির আইএমএফর সঙ্গে ঋণ চুক্তি হবে বলে আশা করছি।

রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তান কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে। দেশটির আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১ মাসের আমদানি-রপ্তানির জন্য যথেষ্ট নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফের ঋণ না পেলে দেশটি ঋণ খেলাপিতে পরিণত হতে পারে।

আইএমএফের কর্মকর্তা নাথান পোর্টার বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ২০১৯ সালের ‍ঋণ কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে নতুন স্ট্যান্ডবাই ব্যবস্থা। পাকিস্তানের অর্থনীতি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে গত বছর ভয়াবহ বন্যা ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত আছে।

তিনি বলেন, আমদানি ও বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কর্তৃপক্ষের চেষ্টা সত্ত্বেও পাকিস্তানের রিজার্ভ খুবই নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এছাড়া, দেশটির বিদ্যুৎ খাতের তারল্য পরিস্থিতিও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে নতুন এই ব্যবস্থা আগামী মেয়াদে বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক অংশীদার আর্থিক সহায়তা পেতে নীতি নির্ধারণ করবে।

চলতি বছরের শুরুতে আইএমএফের একটি দল পাকিস্তানে আসার পর থেকে ইসলামাবাদ বেশ কিছু নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে আইএমএফের দাবি করা অন্যান্য সমন্বয়ের মধ্যে আছে- বিদ্যুৎ ও রপ্তানি খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহার, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, মূল নীতির হার ২২ শতাংশে উন্নীত করা, বাজার-ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার এবং বহিরাগত অর্থায়নের ব্যবস্থা করা।

তবে, পাকিস্তানের জন্য খারাপ খবর হলো, চলতি বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৩৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

Comments

The Daily Star  | English

Six state banks asked to cancel contractual appointments of MDs

The Financial Institutions Division (FID) of the finance ministry has recommended that the boards of directors of six state-run banks cancel the contractual appointment of their managing directors and CEOs..The six state-run banks are Sonali Bank, Janata Bank, Agrani Bank, Rupali Bank, BAS

1h ago