বাজারে এখন আনঅফিসিয়াল আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার আছে: পিআরআই

আন্তঃব্যাংক বিনিময়ে হার, ডলার, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ, আহসান এইচ মনসুর,
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ডলার ঘাটতির মধ্যে আনঅফিসিয়াল আন্তঃব্যাংক বিনিময়ে হারের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। তাই জাতীয় নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ব্যাংককে সমন্বিত ও পুরোপুরি বাজারভিত্তিক বিনিময় হার বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।

বেসরকারি অলাভজনক গবেষণা সংস্থাটি বলেছে, দেশে অফিসিয়াল সমন্বিত হার আছে, কিন্তু বাস্তবে এগুলো কেবল কাগজে দেখা যায়।

সংস্থাটি আরও বলেছে, বাজারে ডলার সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক ঋণপত্র খুলতে অনিচ্ছুক, ফলে মানুষ সরকারি হারের চেয়ে অনেক বেশি হারে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে, তার বিপরীতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পিআরআই।

ওই সংবাদ সম্মেলনে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'এটি কাম্য নয়।'

বাংলাদেশ ব্যাংককে বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের সুপারিশ করেছে আইএমএফ। ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সমন্বিত বিনিময় হার চালু করেছে।

আইসান এইচ মনসুর বলেন, 'কিন্তু রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের জন্য আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক পর্যায়ে নির্ধারিত রাখতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তাই এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি।'

আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ আইসান এইচ মনসুর বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সমন্বিত হারে লেনদেন হচ্ছে না।

তিনি বলেন, 'আন্তঃব্যাংকে একটি আনঅফিসিয়াল বাজার তৈরি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আন্তঃব্যাংকে কার্ব বাজার ও আনঅফিসিয়াল হারের মধ্যে ব্যবধান কম এবং অফিসিয়াল হার ও কার্ব বাজারের মধ্যে বিনিময় হারের ব্যবধান বেশি।'

বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিতিশীলতা রোধে কয়েক মাস ধরে প্রবাসী, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের জন্য ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে ব্যাংকারদের দুটি সংগঠন।

বর্তমানে রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। একইসঙ্গে প্রবাসীদের বৈধ মাধ্যমে ডলার পাঠাতে উৎসাহিত করতে ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়ার কথা আছে।

আমদানিকারক ও ব্যাংকারদের তথ্য অনুযায়ী, আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় ডলার বিক্রির কথা থাকলেও বেশিরভাগ ব্যাংক তা মানছে না।

ফলে, ব্যাংকগুলো ভুল তথ্য-উপাত্ত তৈরি করছে বলে জানান আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, 'এর মাধ্যমে আর্থিক খাতের তথ্য দুর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে, এটা অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনের পর বিনিময় হার সমন্বয় করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

RMG exports to US grow after a gap of two years

Garment shipment to the US increased by 0.75% to $7.34 billion

8h ago