ঢাকা শহরে ফিটনেসহীন বাসের দৌরাত্ম্য
রাজধানী ঢাকা শহরে বেসরকারি বাস অপারেটরদের পরিচালিত প্রতি ৫টি বাসের মধ্যে এক বা একাধিক বাসের কোনো বৈধ ফিটনেস সনদ নেই।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে চলাচলের জন্য ৭৫টি বাস কোম্পানির ৩ হাজার ৯৭৪টি বাসের রুট পারমিট রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ২১ দশমিক ৯২ শতাং বা ৮৭১টি বাসের কোনো ফিটনেস ছাড়পত্র নেই।
এ সংক্রান্ত একটি নথি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসে পৌঁছেছে, যেটি গত ৫ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সদর দফতরে আয়োজিত একটি সভায় উত্থাপন করা হয়। যেখানে বহু বাস মালিক উপস্থিত ছিলেন।
বাস্তবে, রাজধানীতে ১২০টিরও বেশি অপারেটর কোম্পানি ৫ হাজারের বেশি বাস চালায়। পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, এসব কোম্পানির অনেক বাসেরই ফিটনেস সনদ নেই। তারা ঘুষ দিয়ে ঢাকা শহরে বাস চালায়।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এ ধরনের বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকা সত্ত্বেও নগরীতে ১ হাজার ৬০০টির বেশি অননুমোদিত বাস চলাচল করছে।
গত মাসে বাস রুট রেশনালাইজেশন ও কোম্পানির অধীনে বাস পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয় কমিটির বৈঠকে অননুমোদিত বাসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
২০১৯ সালে সরকার বাসের রুটগুলোর বৈধতা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করে, সেখানে বাস পরিষেবা প্রদানকারীর সংখ্যা সীমিত। এখন পর্যন্ত এটি ৪২টি রুটের মধ্যে ৩টিতে সিস্টেম চালু করতে পেরেছে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও কমিটির সদস্য সচিব সাবিহা পারভিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সভার কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে, হানিফ পরিবহন, যাদের ২৩ নম্বর রুটে চলাচলের কথা ছিল। ওই রুটে বহু অনুমোদনহীন বাস চলাচল করায় তারা আগ্রহ হারিয়েছে।
রুট-২৩ ঘাটারচর থেকে শুরু হয়ে শ্যামলী, কলেজ গেট, আসাদ গেট, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, জাতীয় প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা, কমলাপুর, ধলপুর, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল হয়ে চট্টগ্রাম রোডে হয়ে সাইনবোর্ডে যাবে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদিউজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ফিটনেসহীন গাড়িগুলো অন্যান্য ফিটনেস গাড়ির জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকায় পথচারীরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ ধরনের ফিটনেসহীন গাড়ি তাদের ঝুঁকি বাড়ায়।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের যানবাহন মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে।
সংক্ষেপিত: বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন
Comments