বিচারকদের চিন্তা-চেতনায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে সবসময় নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। তা ছাড়া কোনো ব্যক্তি, এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠানও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না।

সেজন্য সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিচারকদেরকে নতুন নতুন আইন, জুডিসিয়াল সিদ্ধান্ত, পরিবর্তিত কর্মপরিধি ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে হালনাগাদ থাকতে হবে। চিন্তা-চেতনায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে। কার্যক্ষেত্রে পুরনো ধ্যান-ধারণা পরিহার করে আধুনিক প্রযুক্তি, কারিগরি জ্ঞান এবং তত্ত্বীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। সেবা প্রদানে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে হবে।

আজ শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৪৯তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, 'বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সেবা সহজীকরণ প্রক্রিয়া চলছে। কে কত দ্রুত ও কত সহজে মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারে, তা নিয়ে রীতিমত অন্ত ও আন্ত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় শামিল হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেবাকে স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। অনেক ক্ষেত্রেই এর সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিচারপ্রার্থী জনগণকে দ্রুত বিচারিক সেবা প্রদানে বিচার বিভাগকেও সমান তালে এগিয়ে যেতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা জনগণের সেবক। তাই আমাদের জবাবদিহিতার মূলে রয়েছেন জনগণ। তাদেরকে সেবা প্রদানের জন্যই আমরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব নিয়েছি। এই দায়িত্ব আমরা কে, কত সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, তার ওপরই নির্ভর করে আমাদের সুনাম ও সফলতা, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সফলতা। জনগণকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব নিয়ে আমরা যদি যথাসময়ে তা দিতে না পারি বা সেবা প্রদানের নামে জনগণকে হয়রানি করি, তাহলে নিজের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হবে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে।'

তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'জ্ঞান, দক্ষতা ও সামর্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়িয়ে যেকোনো প্রতিযোগিতা মোকাবিলার উপযোগী হতে হবে, প্রতিযোগিতা মোকাবিলার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। কারণ প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করে যেকোনো জটিল পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।'

'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে সফলতার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম ধাপ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের পথ ধরে এখন তার সরকার এসডিজি ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। ২০৪১ সালে আমরা অবশ্যই নতুন এক বাংলাদেশ দেখতে পাব। যে বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশ, আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী স্মার্ট বাংলাদেশ। যেখানে গড়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ। এই জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী হতে হলে আমাদের দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার বিকল্প নেই', যোগ করেন তিনি।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তব্য দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

10h ago