বিচারকের প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের আচরণ খারাপ ছিল: আইনমন্ত্রী

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আইনমন্ত্রী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে এজলাস চলাকালে আইনজীবীদের আচরণ খারাপ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ শুক্রবার সকালে কসবা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী। এ সময় আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এই মন্তব্য করেন তিনি।

গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বিচারক মোহাম্মদ ফারুক তিনিসহ আদালতের কর্মচারীদের গালিগালাজ ও তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে প্রার্থনা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চিঠি পাঠান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীর প্রতি আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে আজ আইনমন্ত্রী বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়টি আমি জানি। এখন কথা হচ্ছে বিচার বিভাগ স্বাধীন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের বিজ্ঞ জেলা জজ এবং অন্যান্য বিজ্ঞ বিচারকগণ মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে কমপ্লেন করেছেন, ভিডিও পাঠিয়েছেন এবং সেখানে দেখা গেছে, একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খুব খারাপ ছিল।'

এছাড়া বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের জামিন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আদালতের কোন মামলা চলাকালীন সরকারের কোনো মন্ত্রণালয় আদালতের কাজে কখনোই হস্তক্ষেপ করে না। মামলা আদালতে চলছে, আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবের কাছ থেকে যে কথা শুনেছি সেটা হচ্ছে, হাইকোর্টে বিএনপি নেতাদের যে জামিন দেয়া হয়েছিল সেখানে আইনের কিছু ব্যত্যয় ঘটেছে, সেজন্য তিনি আপিল বিভাগে গেছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

The constitution: Reforms only after a strong consensus

Constitutional reforms should be done after taking people’s opinions into account, said Dr Kamal Hossain, one of the framers of the constitution.

2h ago