আইপিএলে শূন্যের রেকর্ড এখন রোহিতের একার

ছবি: বিসিসিআই

উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি সামনে এগিয়ে উইকেটের ঠিক পেছনে দাঁড়ালেন। তখনই ভিন্ন কিছুর চেষ্টায় রোহিত শর্মা হয়ে গেলেন আউট। পেসার দিপক চাহারের বল স্কুপ করতে গিয়ে তিনি শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিলেন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার মাধ্যমে আইপিএলে বিব্রতকর এক রেকর্ড গড়লেন ভারতের অধিনায়ক।

শনিবার চেন্নাইতে স্বাগতিক চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছে রোহিতের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা মুম্বাইয়ের দলনেতা রোহিত ৩ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএলে এটি তার ১৬তম ডাক। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড এখন কেবল তার একার।

এতদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারাইন, ভারতের মান্দিপ সিং ও দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে ১৫টি ডাক নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন রোহিত। মুম্বাইয়ের আগের ম্যাচেই তিনি বসেছিলেন বাকিদের পাশে। গত ৩ মে মোহালিতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে তিনি মাঠ ছেড়েছিলেন শূন্য রাতে। সেদিনও ৩ বল মোকাবিলা করেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটার।

পাঞ্জাবের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পর এদিন ব্যাটিং পজিশন পাল্টে তিনে নামেন রোহিত। কিন্তু ক্যামেরন গ্রিন আউট হয়ে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তাকে ক্রিজে যেতে হয়। নতুন পজিশনেও অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে খালি হাতে বিদায় নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে হয় তাকে।

আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত। ২৩৭ ম্যাচের ২৩২ ইনিংসে ২৯.৭২ গড় ও ১২৯.৮০ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৬০৬৩। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৪১টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার নামের পাশে। তবে এবারের আসরে ব্যাট হাতে ছন্দ নেই তিনি। ১০ ম্যাচে সবকটি ইনিংস খেলে ১৮.৩৯ ও ১২৬.৮৯ স্ট্রাইক রেটে রোহিত করেছেন ১৮৪ রান।

রোহিতের যেখানে ২৩৭ ম্যাচে ১৬টি শূন্য, সেখানে ১৫৮ ম্যাচেই ১৫টি ডাক রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের নারাইনের। একই দলের মান্দিপ সমানসংখ্যকবার শূন্য রানে আউট হয়েছে আরও কম ম্যাচ খেলে– ১১১টি। আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কার্তিকের ২৩৮ ম্যাচে আছে ১৫টি শূন্য।

Comments

The Daily Star  | English

New Trump tariffs: early modelling shows most economies lose – the US more than many

The tariffs will compel foreign producers to lower their prices. But these price decreases only partially offset the cost of the tariffs, so US consumers pay higher prices.

39m ago