টেনিস বলে ‘খেপ’ খেলা আকাশ যেভাবে আইপিএলে মুম্বাইর নায়ক

Akash Madhwal
উড়ছেন আকাশ মাধওয়াল। ছবি: আইপিএল

কারো কারো জীবন সত্যিই রূপকথার মতন বদলে যায়। আকাশ মাধওয়াল এখন হয়ত নিজেই এটা টের পাচ্ছেন। মাত্র বছর চারেক আগেই ক্রিকেট বলের আশেপাশে ছিলেন না তিনি। উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টেনিস বলে 'খেপ' ক্রিকেট খেলে বেড়াতেন ডানহাতি পেসার। ২০১৯ সালে ওয়াসিম জাফরের নজরে আসার পর বদলে যায় তার জীবন। বুধবার রাতে আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি।

আকাশের লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টকে ৮১ রানে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে টিকে আছে মুম্বাই। ৩.৩ ওভার বল করে ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে নেন আকাশ। আইপিএলের ইতিহাসে প্লে অফে এটাই কোন বোলারের সেরা ফিগার!

টেনিস বলে খেপ খেলার পাশাপাশি প্রকৌশল বিদ্যায় অধ্যায়নরত  ছিলেন আকাশ। সফলভাবে শিক্ষাজীবন শেষ প্রকৌশলীর চাকরিই বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু ক্রিকেটের নেশা ছাড়তে পারেননি। উত্তরাখণ্ডের কোচ মণীশ ঝা জানালেন, ২০১৯ সালে ২৪ বছর বয়েসে তাদের রাজ্য দলে এক ট্রায়াল দিতে এসে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ ওয়াসিম জাফরের নজরে পড়েন তিনি,  '২০১৯ সালে ও আমাদের ট্রায়ালে এসেছিল। ওর মধ্যে একটা এক্স ফ্যাক্টর দেখতে পাই। অ্যাকশন খুব মসৃণ। ওয়াসিম ভাই সঙ্গে সঙ্গে ওকে দলে নিয়ে নেন ও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে  নামিয়ে দেন।'

আকাশকে গত আইপিএল থেকেই নেট বোলার হিসেবে দলে রাখছিল মুম্বাই। জাসপ্রিট বুমরাহ আর জোফরা আর্চারের চোটে পরে যোগ করা হয় মূল স্কোয়াডে। অধিনায়ক রোহিত উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানালেন সেই গল্প,  'সে গত বছরের দলের সঙ্গে ছিল নেট বোলার হিসেবে। জোফরা আর্চার ছিটকে পড়ার পর আমার মনে হলো সে তার দক্ষতা মেলে ধরতে পারবে।'

মুম্বাইকে ম্যাচ জেতানোর হিরো ২৯ পেরুনো এই পেসার গণমাধ্যমে জানান, প্রকৌশলী বলে অনেক পরে শুরু করেও সবকিছু দ্রুত শিখে নিচ্ছেন তিন,  'আমি কেবল অনুশীলন করছিলাম আর সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি প্রকৌশল শিক্ষা সম্পন্ন করেছি। টেনিস বল খেলতাম, সেটাই প্যাশন ছিল। প্রকৌশলীদের দ্রুত শিখে নেওয়ার প্রবণতা  আছে।'

'আমি যেটা অনুশীলন করেছি সেটা প্রয়োগ করতে পেরেছি। নিজেকে নিয়ে আমি গর্বিত। কিন্তু আরও ভালো করার চেষ্টা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh intensifies Covid-19 screening at Benapole amid surge in India

The move comes following an alert issued by the Directorate General of Health Services (DGHS) on June 6

2h ago