আইপিএল

কেন সুযোগ পাচ্ছেন না কুইন্টন ডি কক?

Quinton De Kock
লক্ষ্ণৌর অনুশীলনে কুইন্টেন ডি কক। ম্যাচ পাচ্ছেন না তিনি।

কুইন্টন ডি ককের মতোন ব্যাটার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের ডাগআউটে বসে ঝিমুচ্ছেন, কখনো পানি টানছেন। এমনটা কি আইপিএল শুরুর আগে ভাবতে পেরেছিলেন কেউ? গত আইপিএলে একই দলের হয়ে পাঁচশোর বেশি রান করেছেন। সাড়ে ছয় কোটি রুপির বেশি দিয়ে এবারও তাকে ধরে রেখেছে লক্ষ্ণৌ। কিন্তু ছয় ম্যাচ চলে গেলেও এখনো একাদশে ঠাঁই মেলেনি ডি ককের। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের মতে এটি 'খুবই দুর্ভাগ্যজনক।'

ঝামেলা হয়েছে মূলত শুরুতে। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সুপার লিগের বাঁচা মরার সমীকরণ থাকায় আইপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন না ডি কক। ওই দুই ম্যাচেই সুযোগটা পেয়ে তা দু'হাতে লুফে নেন কাইল মেয়ার্স। রাহুলের সঙ্গে ওপেন করে সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নেন তিনি। এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২১৯ রান করেছেন দুই ফিফটিতে, তার স্ট্রাইকরেট ১৫৪.২২। একপাশে রাহুল খেলা মন্থর করলেও মেয়ার্সের ব্যাটে উড়ছে লক্ষ্ণৌ। দুই ম্যাচে সেরাও হয়েছেন তিনি।  এই অবস্থায় মেয়ার্সকে একাদশ থেকে সরানোর কোন ভাবনার দিকেই যেতে পারছে না তারা।

চার বিদেশি কোটায় মেয়ার্স ছাড়াও কিপার ব্যাটার হিসেবে নিকোলাস, পেস অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস ও একজন বিশেষজ্ঞ পেসার মার্ক উড, রোমারিও শেফারড বা নাবিন উল হককে খেলিয়ে আসছে।

রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচের টসের সময় রাহুল তাই ডি ককের না থাকাকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে আখ্যা দেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কুইন্টেনের মতোন একজনকে বাইরে বসে থাকতে হচ্ছে। কেবল চারজন বিদেশি খেলানোর প্রতিযোগিতায় খেলতে পারে।'

'তাকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কাইল খুবই ভালো করছে। এজন্য দুর্ভাগ্যজনক (ডি ককের জন্য)। খারাপ লাগছে। কুইন্টেনের সঙ্গে ওপেনিং খুব উপভোগ করি। কিন্তু এখন তাকে খেলাতে পারছি না আমরা।'

২০২২ সালের আসরে ডি কক-রাহুল জুটির সাফল্যে প্লে অফে গিয়েছিল লক্ষ্ণৌ। ৩৬.২৮ গড় আর ১৪৮.৯৭ স্ট্রাইকরেটে ৫০৮ রান করে বড় অবদান রাখেন প্রোটিয়া ব্যাটার। তাকে তাই ৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে ধরে রাখে লক্ষ্ণৌ, কিন্তু আপাতত দামি এই খেলোয়াড়কে দিয়ে পানি টানাচ্ছে তারা।

বুধবার খেলার আগে স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে অবশ্য নির্ভার থাকার কথা জানান ম্যাচ না পাওয়া ডি কক, 'খুব নির্ভার আছি। আমি আসলে এরকম সাইড লাইনে বসে অভ্যস্ত নই। কিন্তু দিল ভালো করছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমি মজা করছি। বেশ কিছু নতুন বন্ধু বানিয়ে ফেলেছি। সবার খেলা দেখতে মজা পাচ্ছি।'

তবে একদম আয়েশে শরীর ভারিও করছেন না তিনি। নিজেকে ফিট রাখার জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন কাজ, 'আমি প্রচুর জিম করছি, অনুশীলন করছি। আমার মনে হয় গত দুই বছরেও এতটা করিনি।'

মেয়ার্স ভালো করলেও রাহুলের পারফরম্যান্স একদম প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। ৬ ম্যাচে ১৯৪ রান করলেও তার স্ট্রাইকরেট মাত্র ১১৪.৭৯। তবে তিনি যেহেতু স্থানীয় ক্রিকেটার কাজেই তার জায়গা নিয়ে নেই প্রশ্ন।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

17h ago