দেশে মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ কমেছে: বিবিএস

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমাণ কমছে। ২০১৬ সালে দৈনিক মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ছিল ৩৬৭ দশমিক ২ গ্রাম। ওই বছরের তুলনায় চলতি বছর তা ১০ শতাংশ কমে ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম হয়েছে।

তবে একই সময়ে দৈনিক মাথাপিছু মাছ, মাংস, সবজি ও দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে।

আজ বুধবার বিবিএস প্রকাশিত খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ এর প্রাথমিক ফলাফলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

এতে দেখা যায়, দেশে চাল ছাড়া অন্যান্য খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে।

বিবিএসের ২০২২ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপে দেখা গেছে, শহরাঞ্চলে মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ২৮৪ দশমিক ৭ গ্রাম, যা জাতীয় গড় থেকে ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম।

গ্রামাঞ্চলে চাল গ্রহণের পরিমাণ ৩৪৮ দশমিক ১ গ্রাম, যা জাতীয় গড় থেকে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।

এই হিসাবে, দেশে বার্ষিক চালের চাহিদা হবে ২ কোটি টনের বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন ছিল এর চেয়ে অনেক বেশি প্রায় ৩ দশমিক ৮১ কোটি টন।

২০১০ সালের খানা জরিপ অনুযায়ী, সে সময় মাথাপিছু চাল গ্রহণের পরিমাণ ছিল ৪১৬ গ্রাম।

চাল ছাড়াও, মাথাপিছু ডিম গ্রহণের পরিমাণও ২০১৬ সালের তুলনায় কমেছে। ২০১৬ সালে যেখানে মাথাপিছু গড় দৈনিক ডিম গ্রহণের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৬ গ্রাম, সেখানে ২০২২ সালের জরিপে তা কমে ১২ দশমিক ৭ গ্রামে দাঁড়িয়েছে।

তবে, দৈনিক মাথাপিছু সবজি গ্রহণের পরিমাণ ২০১৬ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়ে ২০১ দশমিক ৯ গ্রাম হয়েছে।

দৈনিক মাথাপিছু মাংস গ্রহণের পরিমাণ ৪০ গ্রাম, ২০১৬ সালে যা ছিল ২৫ দশমিক ৪ গ্রাম।

মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬৭ দশমিক ৮ গ্রাম, ২০১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ৬২.৬ গ্রাম। 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশেও তার কিছুটা প্রতিফলন আছে। তবে, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের দৃষ্টিকোণ থেকে চালের ব্যবহার হ্রাস এবং আমিষ-সবজি গ্রহণের বৃদ্ধিটা ইতিবাচক।'

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

3h ago