বিএনপি কোনো ট্র্যাপে পা দেবে না, ৫ সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল

ফখরুল
বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আসন্ন ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'জনগণ কোনো ট্র্যাপে পা দেবে না, বিএনপিও কোনো ট্র্যাপে পা দেবে না।'

আজ সোমবার দুপুরে রামপুরায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

যুগপৎ অবস্থান কর্মসূচিতে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত নাটোর সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বেপারীকে দেখতে এদিন ডেলটা হেলথ কেয়ারে গিয়ে তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'সমস্যা হচ্ছে মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য যারা আছেন তারা মুখে এক কথা বলেন, কাজে করেন তার উল্টো। তারা মুখে বলবেন গণতন্ত্রের কথা, বলবেন ছাড় দিচ্ছি; ছাড় দেওয়ার কী আছে! এটা আমার অধিকার। সাংবিধানিক অধিকার যখন আমি প্রয়োগ করতে যাব তখন তারা মারাত্মকভাবে বল প্রয়োগ করে হত্যা-নির্যাতন-গ্রেপ্তার করবে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে। এটা কখনোই এ দেশের মানুষ মেনে নেয়নি অতীতে, মেনে নেবে না।'

এ সময় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

আওয়ামী লীগ মূলত একটি সন্ত্রাসী দল মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এই সরকার এখন সম্পূর্ণভাবে একটি সন্ত্রাসী সরকারে পরিণত হয়েছে। জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার জবাব দেবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এই সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তারা নির্বাচিত সরকার নয়। জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা করতে হয় না। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে গণতন্ত্র থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকে যদি একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন হয় সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাহলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।'

'এই কারণেই আজকে তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে মামলা-মোকদ্দমা, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কর্মসূচিকে পণ্ড করে দেওয়া—এই করে তারা আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান তারা যদি না নিয়ে আসে এবং তারা যদি পদত্যাগ না করে তাহলে এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

2h ago