‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যা দূর করতে সব পক্ষের কথা শোনা হচ্ছে’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যা দূর করতে আলোচনা চলছে, সেখানে সব পক্ষের কথা শোনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আইনটি মূলত সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করা হয়েছে, সেখানেই আমরা থাকতে চাই।'
এই আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আইনটি যেন আরও ভালো করা যায়, যে সমালোচনা হচ্ছে, তা যেন দূর করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'আজ মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তারা (নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা) তাদের প্রস্তাবনার আলোকে যুক্তি পেশ করেছেন।'
তিনি বলেন, 'এ আইনের যেসব সমস্যা আছে, তা দূর করার জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনের কোনটা কোনটা পরিবর্তন দরকার এবং কোনটা কোনটা সঠিক আছে, সেটা আমরা আজকের সভায় তুলে ধরিনি। আজ সময় পাইনি।'
আগামী ৩০ মার্চ আবার এ আইন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, 'আজ দুটি আইন নিয়ে আলাপ করার কথা ছিল। একটা ডিজিটাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, আরেকটা ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট।'
ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের একটা নতুন ড্রাফট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আজ ওয়েবসাইটে ড্রাফট আপলোড করা হয়েছে। তারা (নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা) সেটা দেখে আসেননি। সে কারণে এ সিদ্ধান্ত পৌঁছেছি ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে আগামী ৬ এপ্রিল বসব। সেখানে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।'
তিনি বলেন, 'আমি যতটুকু জানতে পেরেছি আগের মিটিংয়ে যেসব সাজেশন দেওয়া হয়েছিল, তার অনেকগুলোই সেখানে কনসিডারেশন করা হয়েছে।'
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক সমাজের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা তালুকদার, শারমিন খান।
Comments