আদানির বিদ্যুতের সঞ্চালন খরচ বাড়ছে

ভারতের আহমেদাবাদে অবস্থিত আদানি গ্রুপের সদর দপ্তর। ছবি: রয়টার্স
ভারতের আহমেদাবাদে অবস্থিত আদানি গ্রুপের সদর দপ্তর। ছবি: রয়টার্স

ভারতের ঝাড়খণ্ডে স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার খরচ বাড়তে যাচ্ছে। এ সংশ্লিষ্ট দুটি প্রকল্পের খরচ ও সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।

আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে যে ১২টি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে, তার মধ্যে একটি প্রকল্প আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের সঞ্চালন সংশ্লিষ্ট।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভারত (আদানি) থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ উত্তরাঞ্চল হয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।'

'সাউথওয়েস্ট ট্রান্সমিশন গ্রিড সম্প্রসারণ প্রকল্প' নামের এই প্রকল্পটি শেষ করার জন্য বাড়তি ১ হাজার ৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা চেয়েছে এবং বাস্তবায়নের সময় আরও দেড় বছর বাড়ানোর আবেদন করেছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, রুট সম্প্রসারণ এবং নতুন সাবস্টেশন নির্মাণের জন্য এই বাড়তি খরচ লাগবে।

প্রকল্পের কর্মকর্তাদের মতে, সংশোধিত প্রস্তাবে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু নতুন সঞ্চালন লাইন যুক্ত করা হয়েছে, কিছু পুরোনো লাইন নতুন করে বসানো হবে। পুরোনো লাইনের মধ্যে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থেকে বগুড়ার মহাস্থানগড় এবং পাবনার ঈশ্বরদী থেকে নাটোর পর্যন্ত দুটি লাইন রয়েছে।

নতুন যুক্ত হওয়া একটি লাইন ভোলার চরফ্যাশনে, ৪১ কিলোমিটার। যদিও আদানির বিদ্যুতের সঙ্গে সরাসরি এটি সম্পৃক্ত নয়, তবে একই প্রকল্পের আওতায় এটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন।

অবশ্য তিনি দাবি করেন, সংশোধিত হতে যাওয়া প্রকল্পের সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার সক্ষমতার কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, 'আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে বগুড়া জেলা পর্যন্ত ১০৪ কিলোমিটার ৪০০ কেভি যে লাইনটি নির্মাণ করেছি, সেটিই আদানির উৎপাদিত পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম। এই প্রকল্পের আওতায় কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পুরোনো কিছু সঞ্চালন লাইন প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।'

প্রকল্পের সংশোধন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রবাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং এসব এলাকার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।'

আজ সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদিত হলে প্রকল্পের ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শেষ হবে।

এদিকে, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য নেওয়া আরেকটি প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষা আছে, যার ব্যয় ইতোমধ্যেই একবার ২২ শতাংশ বেড়েছে।

বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈরে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পটির লক্ষ্য ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন অবকাঠামো স্থাপন।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৩ হাজার ৩২২ কোটি টাকার এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। লক্ষ্য ছিল ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন। পরবর্তীতে প্রকল্প সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় ২২ শতাংশ এবং সময়সীমা ২০২৪ এর জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

পিজিসিবি এখন দ্বিতীয় বারের মতো এ প্রকল্প সংশোধন করতে চাইছে। প্রস্তাব মতে, খরচ ১৫৩ শতাংশ বাড়াবে, যার ফলে মোট খরচ ১০ হাজার কোটি ছাড়াতে পারে। সংশোধনটি এখনও পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন পায়নি।

আজকের বৈঠকে যে ১২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে, তার মাঝে ৬টিই সংশোধনের প্রস্তাব।

(সংক্ষেপিত। মূল প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Transmitting Adani's power to get costlier)

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান
 

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

3h ago