পাকিস্তানে সাপ্তাহিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৪১.৫৪ শতাংশ
পাকিস্তানে বিদায়ী সপ্তাহে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ মাসের মধ্যে সাপ্তাহিক মূল্যস্ফীতি ৪০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিবিএস) জানিয়েছে, কলা, মুরগি, চিনি, রান্নার তেল, গ্যাস এবং সিগারেটের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি অব্যাহত আছে। ফলে, শর্ট টার্ম ইনফ্লেশন (এসপিআই) দ্বারা পরিমাপ করা মূল্যস্ফীতি ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে ৪১.৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮.৪২ শতাংশ।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে এসপিআই মূল্যস্ফীতি ছিল ৪২.৭ শতাংশ। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আবার দেশটির সাপ্তাহিত মূল্যস্ফীতি ৪০ শতাংশ ছাড়াল।
তবে, সপ্তাহ থেকে সপ্তাহের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ২.৭৮ শতাংশে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২.৮৯ শতাংশ। গণনা করা ৫১টি পণ্যের মধ্যে ৩৩টির দাম বেড়েছে, ৬টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম স্থিতিশীল আছে।
গত বছরের একই সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে যেসব পণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সেগুলো হলো- পেঁয়াজ ৩৭২ শতাংশ, সিগারেট ১৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ, গ্যাস ১০৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, মুরগি ৮৫ দশমিক ৭ শতাংশ, ডিজেল ৮১ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ডিম ৭৫ দশমিক ৮১ শতাংশ, ইরি চাল ৭৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, ভাঙ্গা বাসমতী চাল ৭৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, কলা ৭২ দশমিক ২২ শতাংশ, ধোয়া মুগ ডাল ৭০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এর বিপরীতে, টমেটোর দাম কমেছে ৬৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, মরিচগুঁড়া ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, ঋণদাতারা এখনো বিদ্যুৎ খাতের ঋণ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতি অস্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যা ৩ সপ্তাহের আমদানির জন্য যথেষ্ট নয়। চীন এ সপ্তাহে ৭০০ মিলিয়ন ডলার পুনঃঅর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে।
Comments