ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ৯ পরিকল্পনা
করোনার কঠিন সময় পেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছি আমরা। করোনার বিধি-নিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই এবারের ভালোবাসা দিবসকে একটু অন্যভাবে উদযাপন করতে পারেন। তাছাড়া, রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া কিংবা শপিংমলে কেনাকাটাতো প্রায়ই করা হয়। সুতরাং এবার ভিন্ন কিছু করুন। এখানে তেমন কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরা হলো। আপনি পছন্দের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভালোবাসা দিবসের দিনটি সাজাতে পারেন।
বইয়ের দোকান
প্রিয় মানুষটি যদি বইপোকা হয় তাহলে তাকে নিয়ে বইয়ের দোকানে হাজির হতে পারেন। দিনের শুরুতে দুজনে মিলে আশেপাশের কোনো বইয়ের দোকানে ঘুরতে যান। তারপর সেখানে বসে কিছু সময় কাটাতে পারেন এবং পছন্দের লেখকের বই কিনে উপহার দিতে পারেন। এতে দুজনে সময় কাটানোও হবে, আবারও তাকে কিছু উপহার দেওয়া হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে সে কিন্তু খুশিই হবে।
পিৎজা তৈরি
পিৎজা খেতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু বাইরের থেকে ঘরে বানানো পিৎজা স্বাস্থ্যকর। তাই দুজনে মিলে পিৎজা বানাতে পারেন। কে কত ভালো পিৎজা বানাতে পারে তা নিয়ে একটি প্রতিযোগিতাও হলো। প্রয়োজনে অনলাইনে রেসিপি বা ভিডিও দেখে নিতে পারেন। বানানো শেষে একসঙ্গে উপভোগ করুন। এতে দারুণ কিছু সময় কাটবে এবং নতুন কিছু বানানোর প্রশিক্ষণও হয়ে যাবে।
পুরনো জিনিস
অনেকে নতুন কিছুর চেয়ে পুরনো জিনিসে বেশি পছন্দ করেন। আপনার প্রিয় মানুষটি যদি এমন হয়- তাহলে ঘুরে আসতে পারেন স্থানীয় কোনো ভিনটেজ শপে। আশপাশে না থাকলে খোঁজ নিয়ে জেনে নিন কোথায় আছে। তারপর সময় ঠিক করে তাকে নিয়ে সেখানে যান এবং পছন্দের কিছু কিনে দিন।
কনসার্ট উপভোগ
বাড়িতে প্রতিদিন শোনা মিউজিক লিস্ট থেকে একদিন ছুটি নিতে পারেন। ভালোবাসে অনেক জায়গায় কনসার্টের আয়োজন করা হয়। খোঁজ নিয়ে প্রিয় মানুষের সঙ্গে সেখানে যেতে পারেন। তাহলে দিনটি অনেক ভালো কাটবে।
বাইক রাইড
শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে একটু ঘুরে আসুন কোলাহলমুক্ত কোনো জায়গা থেকে। ঢাকার আশপাশে এমন অনেক জায়গা আছে। আগেই পরিকল্পনা করে ভালোবাসা দিবসের দিন সকালে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন। তারপর সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার আগেই আবার বাসায় ফিরে আসুন।
ট্রেন ভ্রমণ
প্রিয় মানুষটি যদি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন বা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকে। তাহলে, আগে থেকেই দুটো টিকিট কিনে তাকে চমকে দিতে পারেন। অবশ্যই আগেই পরিকল্পনা করে টিকিট কাটতে হবে। তাহলে অযথা ঝামেলায় পড়তে হবে না।
স্বেচ্ছাসেবী কাজ
সমাজের জন্য কিছু করা বা অন্যের পাশে দাঁড়াতে পারলে সবার ভালো লাগে। ভালোবাসা দিবসে পথশিশুদের একবেলা খাবার খাওয়াতে পারেন। কিংবা স্কুলের দেওয়াল রঙ দিয়ে সাজাতে পারেন। আবার সামর্থ্য অনুযায়ী, ছিন্নমূল মানুষকে কিছু অর্থসাহায্য দিতে পারেন।
চিঠি
চিঠি সবসময়ই ভালোবাসার প্রতীক। কিন্তু, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় চিঠি হারাতে বসলেও চিঠির আবেদন কিন্তু কমেনি। এবারের ভালোবাসা দিবসে চিঠি লিখে প্রিয়জনকে দিতে পারেন। এতে সে খুশি হবে, আবার স্মৃতি হিসেব চিঠিটি রেখে দিতে পারবে।
জাদুঘরে ঘোরা
ভালোবাসার দিনে জুটি বেধে জাদুঘরে ঘুরতে যেতে পারেন। আর ফ্রেমবন্দি করে রাখতে পারেন সেসব মুহূর্তকে।
Comments