নায়ক নয়, বইমেলায় এসেছি লেখক হিসেবে: ফেরদৌস

নায়ক ফেরদৌস
বইমেলায় ফেরদৌস। ছবি: শাহ আলম সাজু/স্টার

অনেক বছর পর অমর একুশে বই মেলায় এসেছিলেন ২ বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তখন বইমেলায় নিয়মিত আসতেন। কখনো একা, কখনো বন্ধুদের নিয়ে মেলা থেকে পছন্দের বই কিনতেন।

বইমেলা নিয়ে অসংখ্য স্মৃতি আছে 'হঠাৎ বৃষ্টি'-খ্যাত এই অভিনেতার। এখানে এলেই সেসব স্মৃতির পাখিরা উড়াউড়ি করে।

ফেরদৌস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বইমেলায় এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছি। ফিরে গেছি অনেক পেছনে। স্মৃতির পাখিরা যেন উড়ছে আর আমি দেখছি।'

আরও বলেন, 'বই মেলায় এসে কী যে ভালো লাগছে! দীর্ঘ বিরতির পর আবার বইমেলায় এলাম। আমি ফিরে গেছি ছাত্রজীবনে। নস্টালজিক হয়ে পড়ছি। এখানে এসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুদের কথাও মনে পড়ছে।'

গতকাল শুক্রবার ফেরদৌস সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই মেলায় এসেছিলেন নায়ক হিসেবে নয়, লেখক হিসেবে। তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। 'এই কাহিনি সত্য নয়' উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে প্রথমা। প্রচ্ছদ করেছেন মাসুক হেলাল।

'মেলার তৃতীয় দিনে এত ভিড় দেখতে পাব ভাবিনি। সবাই যদি বই কিনতেন তাহলে মেলায় বই থাকত না। তারপরও তারা বইয়ের সান্নিধ্যে আছেন—এটাও বড় বিষয়। আমি বই মেলায় এসেছি নায়ক হিসেবে নয়, লেখক হিসেবে,' যাগ করেন ফেরদৌস।

নায়ক ফেরদৌস
নিজের লেখা বইয়ে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন ফেরদৌস। ছবি: শাহ আলম সাজু/স্টার

মেলায় ঢুকে ফেরদৌস তার নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। সঙ্গে ছিলেন সাহিত্যিক আনিসুল হক ও গীতিকার কবির বকুল। অনেক ভিড় ছিল সেসময়।

মোড়ক উন্মোচন শেষে ফেরদৌস ভিড় ঠেলে চলে আসেন 'প্রথমা'র প্যাভিলিয়নে। বেড়ে যায় ভিড়। মেলায় এসে জনপ্রিয় এই নায়ককে পেয়ে ভীষণ খুশি পাঠকেরা। প্রিয় নায়কের সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে ভিড় আরও বাড়ে। সেলফির পাশাপাশি বইয়ের অটোগ্রাফ দিতে হিমশিম খেতে হয় তাকে।

'কেমন লাগছে অটোগ্রাফ দিতে?'—ফেরদৌস বলেন, 'নায়ক হিসেবে অটোগ্রাফ অনেক দিয়েছি। বই মেলায় এসে লেখক হিসেবে অটোগ্রাফ দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই আনন্দের কথা বলে শেষ করা যাবে না।'

'লেখালেখি করতে কেমন লাগে?'—তিনি বলেন, 'অসাধারণ। খুব ভালো লাগে। ভারতে অনেকদিন শুটিং করেছি। অনেক জায়গা ভ্রমণ করেছি। একটি ভ্রমণ কাহিনী লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটি উপন্যাস। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিলাম। ওখান থেকে গল্পের শুরু।'

'এই উপন্যাসে ছোটবেলার ঘটনা আছে। জীবনের কিছু অংশ আছে। নতুন অনুভূতি-ভালোবাসায় ভাসছি।'

পাঠকদের উদ্দেশে ফেরদৌস বলেন, 'লিখতে খুব ভালো লাগে। সাংবাদিকতার ছাত্র ছিলাম। পাঠকরা যদি বইটি পড়েন তাহলেই উৎসাহ পাব। নতুন করে লিখব। বই পড়ে রিভিউ দিলে আরও ভালো লাগবে।'

তিনি বলেন, 'প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ভাই উৎসাহ দিয়েছেন। গীতিকার কবির বকুলও। প্রথমা বইটি প্রকাশ করেছে। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।'

'বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'ছোটদের মেলায় আনা উচিত।'

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

8h ago