অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউলের

শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনা
অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

রোগী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম (২৯)। রবিউলের স্ত্রী সোনিয়া ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দ্বিতীয় সন্তানের মুখ না দেখেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, রবিউল খুলনার চন্দ্রানীমহল উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে। ৫ বছরের ছেলে ইয়ামিন ও স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে (২৩) নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। থাকতেন ঢাকার খিলগাওয়ের তালতলা। পেশায় ছিলেন একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক। ৭ বছর আগের সোনিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের ২ বছরের মধ্যে প্রথম সন্তান ঘরে আসে। সুখের সংসারে দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। তার স্ত্রী সোনিয়া ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু, ভাগ্যের কাছে হার মানতে হলো রবিউলকে। সড়ক দুর্ঘটনায় হারাতে হলো প্রাণ। অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না তার।

রবিউলের শ্যালক আল-আমিন সরদার মুঠোফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রবিউল দীর্ঘ ৭ বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছিলেন। তবে, কখনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি। কিন্তু, আজ কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না। আমার বোনের সংসার কীভাবে চলবে? তার ৫ বছরের ছেলেকে কী বলব? সে বাবার পথ চেয়ে বসে আছে। তার ওপর রবিউলের স্ত্রী আমার বোন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেই অনাগত সন্তান কখনোই তার বাবার মুখ দেখতে পাবে না। কষ্ট হলেও এখন আমাদের পরিবারটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।'

এর আগে, আজ ভোর ৪টা ২০ মিনিটে শরীয়তপুরের জাজিরায় ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় রোগীসহ ৬ জন নিহত হন।

নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), তার মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (২০), তাদের আত্মীয় ও স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বী (২৮), অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল ইসলাম (২৯), তার সহযোগী জিলানী (২৮) এবং দৈনিক নবচেতনার বরিশাল ব্যুরো চিফ মো. মাসুদ রানা।

Comments

The Daily Star  | English

Water transport workers call off strike after 45 hours

The announcement was made at 9:20pm after a meeting

2h ago