নতুন বছর কেমন যাবে বৃষ রাশির
'শোনো অভ্যেস বলে কিছু হয় না পৃথিবীতে, পালটে ফেলাই বেঁচে থাকা' – অনুপম রায়ের এই গান এ বছর বৃষজাতকদের জন্যই। জীবনে বড়সড় বদলের আভাস রয়েছে। নিজের কমতিগুলো ঝালাই করে নিন।
রাশিফল অনেকে বিশ্বাস করেন, অনেকে করেন না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জায়গাটা একান্ত ব্যক্তিগত। শুধু আগ্রহী পাঠকদের জন্য অ্যাস্ট্রোসেইজ.কম ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার ২০২৩ সালের রাশিফল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের এই উপস্থাপনা।
বছরের শুরুতে থাকা দুশ্চিন্তার জাল মাকড়সার মতো জড়িয়ে ধরবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে। কাজ আর অকাজ, দুই-ই সমানভাবে চাপ দিতে থাকবে। মাথার চাপ ছাপ রাখবে মনের উপরও। দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি দেবার সুযোগ আছে। ভ্রমণভাগ্যও তুঙ্গে থাকবে। নতুন দেশে নতুন সাফল্য ছুঁয়ে যাবে বৃষের ভাগ্য। কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন– এ বিষয়ে চোখকান খোলা রাখুন। বণিকসমাজের জন্য এই পরামর্শ আরও বিশেষভাবে প্রযোজ্য।
নিজের মনের গোপন কুঠুরিতে ভালোমতো তালা মেরে রাখবেন প্রিয় বৃষ, নয়তো বছরের শুরুতেই গোপন কথা ফাঁস হয়ে বিপদ ঘটতে পারে। মনের চাপ প্রেশার কুকার হয়ে উঠবে। টাকাকড়ির মুখ দেখলেও মনের বিরুদ্ধে জোর-জবরদস্তির কাজ করতে হতে পারে। নিজেকে বারবার প্রমাণ করতে হবে এই বছরে।
তবে দুঃসহ এই যাত্রা সহনীয় মনে হবে বছরের শেষে গিয়ে, 'সবুরে মেওয়া ফলে' বাক্যখানা আরও একবার নতুন করে সত্যি মনে হবে।
টাকাকড়ির ভাগ্যটা এ বছর ৩ ভাগ হয়ে যাবে। প্রথম ৪ মাসে পকেট ভারী হবে, দ্বিতীয় ৪ মাসে একটু সামলে চলা জরুরি– কেন না শেষ ৪ মাসে বেশ টানাটানি চলতে পারে। ব্যবসা ও পড়াশোনায় ভালো দিন আসবে, তাই মিষ্টির দোকানে অর্ডারটা দিয়েই দিন।
পারিবারিক জীবনে এ সময় তেমন কোনো দ্বন্দ্ব আসবে না। নিজের মন সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠবেন বৃষজাতকেরা। নিজেকে আবিষ্কারের এই তো সময়। নিজেই হয়ে উঠুন নিজের দিকনির্দেশক– কলম্বাসের কম্পাস!
সেইসঙ্গে নতুন নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন হয়তো। বিয়ের ক্ষেত্রে ঘটনার কাকতাল বেশ ভালো ভূমিকা রাখবে। সবমিলিয়ে অনুকূল হাওয়া বইবে এবং পরিবারের সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
বছরের দ্বিতীয় অংশে বৃষ রাশির স্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকদিনের বাসস্থান ছেড়ে নতুন কোথাও পাড়ি দিতে হতে পারে। কাজের চাপ এত বেশি থাকবে যে পরিবারের জন্য সময় বের করতে হিমশিম খাবেন। তবে 'ফ্যামিলি ফার্স্ট' মাথায় রাখলে সমস্যা অনেক কমে যাবে। এতে নিজের শক্তি আর ধৈর্যেরও প্রতিদিন নতুন নতুন পরীক্ষা দিতে হতে পারে। তাই নিজেকে ও পরিবারের প্রতি সদয় হোন, যাতে কোনোরূপ অসুস্থতা গ্রাস না করে ফেলে। ঠিক সময়ে সব পরিকল্পনা বাস্তব রূপ নেবে এবং আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল বৃষের ঝুলিতেই জমা হবে। শুধু নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে চলতে পারলেই হলো।
সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারলে ফেব্রুয়ারি বেশ কাজের মাস হবে। তবে মনে রাখবেন, 'রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন'। এত সহজে হেরে যাওয়া যাবে না বৃষ, কেন না মার্চে বৈদেশিক উপার্জনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তাও আবার জীবনসঙ্গীর বদৌলতে। সঙ্গী বাছাইয়ে সতর্ক হোন।
এপ্রিলে আনন্দ ধরা দেবে বৃষের কাছে, মন ভরে উঠবে প্রেমের সুবাসে। মে মাসও খারাপ কাটবে না। সব পরিকল্পনাই একে একে সাফল্যের মুখ দেখবে। কিন্তু বারবার খেয়াল রাখতে হবে, শারীরিক অসুস্থতা যেন সবকিছু বিগড়ে দিতে না পারে।
বিশেষ কারণে জুন মাসের দিকে আবারও বিদেশযাত্রার সুযোগ দেখা দিতে পারে। সফর দীর্ঘ হতে পারে।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে নিজের শরীরের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের অভাবও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে অক্টোবরে শিউলিগুচ্ছের মতো নতুন বদল আসবে। অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে এবং তা বজায় থাকবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জগতে একমাত্র পরিবর্তনই ধ্রুব সত্য। বৃষের জীবনেও বড়সড় স্থানান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘ যাত্রা এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সাফল্যকে জোরদার করবে। এ ছাড়া সম্পত্তি ক্রয়ের বিশেষ সুযোগ থাকবে। বৃষের ভাণ্ডারকে ২০২৩ করে তুলবে 'সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা'।
গ্রন্থনা: অনিন্দিতা চৌধুরী
Comments