কন্যা: বেরিয়ে আসুন ছকবাঁধা রুটিন থেকে

বছরের শুরুর দিকে গুরু বৃহস্পতিকে দেখা যাচ্ছে কন্যা রাশির সপ্তম ঘরে। এই কল্যাণে দাম্পত্যজীবনে সুখের ছোঁয়া বাড়বে
বছরের শুরুর দিকে গুরু বৃহস্পতিকে দেখা যাচ্ছে কন্যা রাশির সপ্তম ঘরে। এই কল্যাণে দাম্পত্যজীবনে সুখের ছোঁয়া বাড়বে

নতুন বছরে কোনো এক বিকেলে সূর্যাস্তের মুখোমুখি হয়ে গুনগুন করে উঠুন, 'ক্রমশ এ গল্পে আরও পাতা জুড়ে নিচ্ছি; দুমুঠো বিকেল যদি চাও ছুঁড়ে দিচ্ছি...!'

রাশিফল অনেকে বিশ্বাস করেন, অনেকে করেন না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জায়গাটা একান্ত ব্যক্তিগত। শুধু আগ্রহী পাঠকদের জন্য অ্যাস্ট্রোসেইজ.কমটাইমস অব ইন্ডিয়ার ২০২৩ সালের রাশিফল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের এই উপস্থাপনা।

বছরের শুরুর দিকে গুরু বৃহস্পতিকে দেখা যাচ্ছে কন্যা রাশির সপ্তম ঘরে। এই কল্যাণে দাম্পত্যজীবনে সুখের ছোঁয়া বাড়বে। হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে কেটে যাবে স্মৃতিময় সব মুহূর্ত। 

এপ্রিলের শেষে বৃহস্পতির আগমন ঘটবে মেষ রাশির গলি পেরিয়ে চতুর্থ ঘরে। সারা বছরই সেখানে অবস্থান করবেন তিনি। 

ওদিকে মে মাসে আশঙ্কা করা যাচ্ছে অষ্টম ঘরে বৃহস্পতি-রাহুর মিলনের, যা থেকে কন্যা রাশির ভাগ্যবলয়ে যুক্ত হবে গুরুচণ্ডাল দশা। এই সময়টা সবকিছুই সামলে চলতে হবে। সুস্থ দেহে সুন্দর মন; দেহ ও মনের বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। 

অক্টোবরের শেষ তারিখে সপ্তম ঘরে রাহুর সংক্রমণ ও কেতুর প্রবেশ অশুভ সময়ের সূচনা করতে পারে। বৈবাহিক জীবন ও ব্যবসার কাজে সামলে চলতে হবে। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার সময়েও মাথা ঠান্ডা রাখা সহজ কম্মো নয়! সন্দেহের বীজ দানা বাঁধবে। সন্দেহের মতো অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করে জিতে যেতে পারলে সফল হবেন…। 

বৃহস্পতি একলা থাকলে যতটা সদয়, ততটাই নিষ্ঠুর হয়ে ওঠেন রাহু-কেতু বা শনির সংস্পর্শে। এই গতি পরিবর্তনের সময়গুলোতে কন্যা রাশির আঙিনায় চাঁদের রূপালি আলোও যুক্ত হবে এই বছরে। ভালো-মন্দ দুই ফলাফলই বয়ে আনবে এই পথবদলের পরিক্রমা। বদলের গান বাজবে পুরো বছর জুড়ে। চলার পথে আসা বাধাগুলোকে শনিদেব লঘু করে দেবেন, বৃহস্পতিও নিজের মতো করে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে চলবেন। 

২০২৩ সালে কন্যা রাশির জাতকদের জন্য সৌভাগ্যের সংখ্যা হবে ক্রমান্বয়ী '৫' এবং '৬'। নীল, সবুজ, হলুদ আর সাদা রঙের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন– কেন না কন্যাদের সৌভাগ্যের দলে আছে তারাও। 

মনের কথা মনে না রেখে এবারে সাহস করে বলেই দিন সামনের মানুষটিকে। হয়তো নতুন কোনো গল্পের জন্ম হবে। 

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের সময়টাতে সুদিনের শতভাগ সম্ভাবনা। ইচ্ছেপূরণের এই মৌসুমে সব পরিকল্পনাই মনমতো বাস্তবায়নের মুখ দেখবে। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য ধরে রাখতে একটু বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বিদেশভ্রমণের সুযোগের পাশাপাশি কন্যা নিজেও হয়ে উঠতে পারেন পরবাসী। 

বদল এবারে চোরাবালির মতো পতনের দূত হবে না। ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে উন্নয়নের ঢেউ। শনির কৃপায় বাধা-বিপত্তির অবসান খুব সম্ভব কন্যা রাশির জন্যই তোলা রয়েছে। জীবনযাপনে একঘেয়েমি চলে আসলে বদলে ফেলার এখনই সময়। ছকবাঁধা রুটিন থেকে এ বছর বেরিয়ে আসুন। বরং ঠিকঠাক চালের ছক কষুন, যাতে প্রতিপক্ষ সুবিধা করতে না পারে। দাবার বোর্ডে ঘোড়ার চালের মতো আড়াই ঘর এগিয়ে থাকবেন কন্যারা। তবে মনে রাখবেন, 'অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা'। আলসেমি থেকে মুক্তি না পেলে অর্জনের চিন্তা ভুলে যান। 

আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের আরও সক্ষম করে তোলে। এই নীতিতে বিশ্বাস রাখতে পারলে কন্যা রাশির লোকেদের তেমন কোনো দুশ্চিন্তা নেই। টাকা-পয়সা খরচের ক্ষেত্রে সব হিসেব কষে নিতে হবে আগেভাগে, নয়তো ঝামেলার পড়ার আশঙ্কা আছে। বিনিয়োগের জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না, নয়তো সর্বপ্রকার লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলবে। 

শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। কন্যার জন্যও বছরের শেষ মাসগুলো, অর্থাৎ নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেখা যাচ্ছে সুসংবাদের সুদিন। তবে নিজের স্বভাব ভুলে গেলে চলবে নান্যা। দ্বৈততা এ রাশির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জীবনের বেশিরভাগ সময় 'এটা নাকি ওটা' বলে কেটে যাওয়াটাই স্বাভাবিক এই রাশির লোকেদের জন্য। মুখের চেয়ে মনের দ্বন্দ্বে বেশি জড়ান তারা। 

তাই যত ভালো যোগই থাকুক, যেকোনো সময় বিগড়ে যাবার সুযোগ থেকে যাচ্ছে ভাগ্যে। এ রাশির লোকেদের জন্য তাই একটাই পরামর্শ– 

'কন্যা ভুল করিস না!'

গ্রন্থনা: অনিন্দিতা চৌধুরী

 

 

 

Comments