জামায়াত-বিএনপি যেন আর দেশের মানুষের রক্ত শুষে খেতে না পারে

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি-গ্রেনেড হামলাকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত-বিএনপি যেন আর দেশের মানুষের রক্ত শুষে খেতে না পারে।

আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পোলো গ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাবা-মা, ভাই সব হারিয়ে ফিরে এসেছি বাংলার মানুষের জন্য। এই দেশের মানুষ দুবেলা পেট ভরে ভাত খাবে, তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা হবে। উন্নত জীবন পাবে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী দেশ। সেই বিজয়ী দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো। আমরা যেন সেভাবে বাংলাদেশকে গড়তে পারি। আপনাদের দোয়ায় আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ১৫ আগস্ট যাদের হারিয়েছি আপনাদের কাছে তাদের জন্য দোয়া চাই।

সেই সঙ্গে সহযোগিতা চাই, বাংলার মাটিতে আবার যেন যুদ্ধাপরাধী-খুনীর দল ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেবো না। জামায়াত-বিএনপি খুনী-অপরাধীর দল। জাতির পিতার হত্যায় মদদদানকারী দল। আমাকেও বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। এরা যেন আর বাংলাদেশের মানুষের রক্ত শুষে খেতে না পারে, বলেন তিনি।

এ সময় নৌকা মার্কায় ভোটের ওয়াদা চান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আমরা খাদ্যে কষ্ট পেতে দেবো না। আমাদের খাদ্য উৎপাদন আমরা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছি। যার ফলে বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। তা ছাড়া, আমরা গবেষণা করে ফল-মূল, তরিতরকরি, মাছ-মাংস সব উৎপাদন বাড়িয়েছি। তারপরও যদি কখনো ঝড়-বন্যায় ক্ষতি হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ থেকে নিয়ে এসে রিজার্ভ ঠিক রাখি।  

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওরা জনমত সৃষ্টি করতে পারে না। উন্নতি করতে পারে না কিন্তু মিথ্যা কথা বলায় পারদর্শী। গুজব ছড়িয়ে ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে ছুটবেন না। আগে হাত দিয়ে দেখবেন কান আছে কি না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর বারবার ক্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে ওরা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। খুন করেছে, বোমাবাজি করেছে। যথেষ্ট চেষ্টা করেছে কিন্তু মানুষের ক্ষতি আমরা হতে দেইনি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত, অগ্নিদগ্ধ তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। যতগুলো বাস-গাড়ি পুড়িয়েছিল, প্রত্যেককে গাড়ি সারানোর জন্য আমরা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। ওরা ধ্বংস করে, আমরা সৃষ্টি করি। ওরা ক্ষতি করে, আমরা মানুষের মঙ্গল করি। এটাই বিএনপি আর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তফাৎ। ওদের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী-খুনী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে আমরা তাদের সঙ্গে আছি। আমরা শান্তি চাই, আমরা শান্তি, দেশের উন্নতিতে বিশ্বাস করি। 

২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেউ কর্মহীন থাকবে না। আমরা যেভাবে শিক্ষা দিচ্ছি, তাতে গ্রামে বসে যে কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। কিছু দিন আগে বিদ্যুতের জন্য কষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে থাকবে না কিন্তু আপনাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
High Court

Fresh probe by home ministry needed: HC

The August 21, 2004 grenade attack case should be referred to the home ministry for a fresh probe by a proper and expert investigation agency to ensure justice, observed the High Court in its full verdict

48m ago