যশোরে প্রধানমন্ত্রী: কানায় কানায় পূর্ণ সভাস্থল

সভাস্থলের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে যশোরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আজ বৃহস্পতিবার জেলার শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত যে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, ইতোমধ্যে তা কানায় কানায় ভরে উঠেছে।

সর্বশেষ ৫ বছর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুরো যশোর সেজেছে উৎসবের সাজে। ব্যানার-ফেস্টুন আর তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে আশপাশের পুরো এলাকা।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং পাসিং আউট কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন।

এর আগেই আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সভাস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন। যশোর বাদে খুলনা বিভাগের আরও কয়েকটি জেলার মানুষও বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে যশোরে এসেছেন এই জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য।

সকাল থেকে বিভাগের অন্য জেলাগুলো থেকেও হাজার হাজার নেতা-কর্মী আসতে থাকেন জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের সবগুলো সংসদীয় আসনের সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে বাসে ও ট্রাকে করে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এসেছেন। হাজারো নারীও আছেন সেই দলে।

সমাবেশে যোগ দিতে আসা অনেকে ব্যাগে করে দুপুরের খাবারও নিয়ে এসেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুসারীদের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট দেখা গেছে অনেকের গায়ে। আবার অনেকের হাতে শেখ হাসিনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদাদের ভাষ্য, প্রধানমন্ত্রীর এবারের জনসভা হবে স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসভা। এই জনসভা শুধু স্টেডিয়ামেই হবে না, গোটা যশোর শহরেই ছড়িয়ে যাবে এই সভা। শহরের টাউন হল মাঠসহ বিভিন্ন জায়গায় বড় এলইডি পর্দা বসানো হয়েছে। পর্দায় সবাই প্রধানমন্ত্রীর ভাষন সরাসরি দেখতে পাবেন।

জনসভায় আসা নারীদের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর একই স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রায় ৫০ বছর পর সেখানেই ভাষণ দিতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কোম্পানির মাইকে ভাষণ দিয়ে জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন, আজ সেই কলরেডির মাইকেই ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ভাষ্য, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি যশোরের সাধারণ মানুষের ভেতরেও নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থান, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, ভবদহের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন, বেনাপোল বন্দরকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক জোন স্থাপন ও মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে সাগরদাঁড়িতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে রাজপথে আছেন তারা।

Comments