বিএনপির দুটি গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন: শেখ হাসিনা

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

বিএনপির দুটি গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পোলো গ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। ২০১৩ থেকে শুরু করল অগ্নি সন্ত্রাস। লঞ্চ-ট্রেন-রাস্তায় আগুন। গাছ কেটে ফেলছে। চারিদিকে শুধু অগ্নিসন্ত্রাস। যাদের মধ্যে মনুষত্ব আছে তারা কি এভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে! তাদের আন্দোলন হচ্ছে মানুষ খুন করা। বিএনপির দুটি গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন। তারা জানে নির্বাচন হলে মানুষ ওই খুনীদের ভোট দেবে না। তাই তারা নির্বাচন চায় না। চায় সরকার উৎখাত করে এমন কিছু আসুক যারা একেবারে পালকিতে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে বিএনপিকে। এটাই তারা আশা করে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তারা জনগণের তোয়াক্কা করে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, আমাদের রিজার্ভ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা কষ্ট করে রিজার্ভ বাড়ালাম। ২০০১-এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলো। সেটাও আমাদের গ্যাস বেচার মুচলেকা দিয়েই এসেছিল। ক্ষমতায় এসেই তারা কীভাবে মানুষ খুন করেছে। চট্টগ্রামে আমাদের এমন কোনো নেতা-কর্মী নেই যাদের ওপর তারা হামলা করেনি। তাদের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। এই হত্যা-খুন, এটাই তারা খুব ভালো জানে। সেটাই তারা করে গেছে। মানুষের জন্য তারা কোনো কাজ করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, মানুষের উন্নতি হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসি মাত্র ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ ছিল। আমরা সেটা বাড়িয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার করি। করোনাকালে পৃথিবীর উন্নত দেশ, ধনী দেশ বিনা পয়সায় কাউকে ভ্যাকসিন দেয়নি কিন্তু বাংলাদেশে দিয়েছে। আমি দিয়েছি নগদ টাকা দিয়ে কিনে। আমাদের রিজার্ভের টাকা আমরা খরচ করেছি। বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়েছি। বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চলতে পারে। শ্রমিকদের বেতন তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছি যাতে চাষবাস চলতে পারে। ওষুধ-ভ্যাকসিন কিনেছি। আমার দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এখনো আমরা করোনা ভ্যাকসিন ও টেস্টিং বিনা পয়সায় করি। আমাদের কাজই হচ্ছে জনগণের সেবা করা আর সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।

অপারেশন ক্লিন হার্ট ২০০১-এ শুরু করল। আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বহু নেতা-কর্মীদের অত্যাচার করে হত্যা করেছে। তারপর সেই অপরাধীদের ইনডেমনিটি দেওয়া হলো। যেভাবে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে, আপনাদের দোয়ায় আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলে সেই খুনীদের বিচার করতে পেরেছি। সেই খুনীদের সঙ্গে এখনো তাদের সখ্যতা আছে। ওই খুনী-দুর্নীতিবাজ এরাই এদের সঙ্গে চলে। ২০১৩-১৫ যেভাবে অগ্নি সন্ত্রাস করে যেসব মানুষকে হত্যা করেছে এর জবাব একদিন খালেদা জিয়া, তারেক জিয়াদের দিতে হবে; অগ্নি সন্ত্রাস করে কেন তারা মানুষ হত্যা করল। এর হিসাব মানুষ নেবে, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

1h ago