বিশ্বব্যাংকের কাছে সহজ শর্তে আরও ঋণ চায় বাংলাদেশ

World Bank logo

সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহজ শর্তে আরও ঋণ চেয়েছে। বাংলাদেশ এই ধরনের ঋণের সবচেয়ে বড় গ্রহীতা হলেও দেশের অর্থনীতিতে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব কাটাতে এই ঋণ চাওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার এবং বাংলাদেশ ও ভুটানের পরবর্তী কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুউলায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আইডিএ-২০ এর মাধ্যমে বিশ্বের ৭৪টি দরিদ্রতম দেশের জন্য বিশ্বব্যাংক গ্রুপের চলমান রেয়াতি ঋণ থেকে বাংলাদেশ পাবে ৬.১৫ বিলিয়ন ডলার, যা আইডিএ-১৯ থেকে পাওয়া ঋণের চেয়ে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৩ বছরের এই ঋণ কর্মসূচীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৯৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশকে দেওয়া হচ্ছে এই বরাদ্দের সাড়ে শতাংশ, যা একক দেশের জন্য সর্বোচ্চ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগতরা জানান, তারপরও সরকার বাজেট সহযোগিতা হিসেবে আরও ঋণ চাইছে।

বৈঠকের আগের দিন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন মার্টিন রাইজার। সেখানে তাকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

ইআরডি কর্মকর্তারা বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, এই যুদ্ধের কারণে ৬-৭টি পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এর ফলে আমদানিতে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে ৮২০ মিলিয়ন ডলার।

সরকার জুনের শুরুতেও বাজেট সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ বাজেট সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরেও একই পরিমাণ ঋণ পাওয়া যেতে পারে।

এই ঋণের বিনিময়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি অর্থনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত মোট ১২টি শর্ত দিয়েছে।

সরকার এসব শর্তের কোনোটিই এখন পর্যন্ত পূরণ করতে পারেনি।

রেয়াতি ঋণ চেয়ে অর্থমন্ত্রীর অনুরোধের জবাবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, তাদের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করলে আরও ঋণ দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Private airlines caught in a bind

Bangladesh’s private airline industry is struggling to stay afloat, hobbled by soaring fuel prices, punitive surcharges, and what operators describe as unfavourable policies. Of the 10 private carriers that have entered the market over the past three decades, only two -- US-Bangla Airlines and A

8h ago