‘কেনার পয়সা নাই, কী দামে বিক্রি করব সেটা তো পরের বিষয়’

toufique_e_elahi.jpg
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। ফাইল ছবি

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, '…কেনার পয়সা নাই  তো। কী দামে বিক্রি করব সেটা পরের বিষয়।'

শিল্প খাতের প্রয়োজনে বেশি দামে হলেও এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেছেন।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত 'শিল্পে জ্বালানি সংকট সমাধান' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।

তৌফিক ইলাহী বলেন, 'ইটস অল অ্যাবাউট ফরেন এক্সচেঞ্জ। প্রয়োজনে শপথ নেবো শিল্প ও কৃষিতে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজনে দিনের বেলা অন্য সেক্টরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।'

তিনি বলেন, 'আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের নিজেদের (বিদ্যুতের) প্রয়োজনটাকে কমাই। যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু ছিল না। বাতি ছিল না, খাওয়াও ছিল না, কিন্তু বাঙালিরা পেরেছে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে ১০-২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে পারব। শিল্পকে বাঁচাতে পারব।'

'আগামী দু-এক মাসের মধ্যে ভোলা থেকে প্রতিদিন ৮০ ইউনিট (এমএমসিএফ) গ্যাস সিএনজি করে নিয়ে আসা হবে। আগামী বছরের মধ্যে গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে ১ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চেষ্টা করা হবে। আর যদি করতে হয়, নিজেকে বেল্ট টাইটেনিং করা লাগবে…।'

তিনি বলেন, 'আমরা কৃষি ও শিল্পে বিদ্যুৎ বেশি দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অন্যরা বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করব। প্রয়োজনে দিনের বেলা ব্যবহারই করব না। আমরা যদি শিল্পে বিদ্যুৎ দেই, তাহলে আবাসিকে সরবরাহ কমাতে হবে। সেটা করলেই আবার মিডিয়ায় অনেকেই অনেক কথা বলবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আজ যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে লোডশেডিং বাড়বে, তখন আপনারাই সমালোচনা করবেন। অথচ একসময় সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। সারা দেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে। আমরা এসি বন্ধ রাখব বা কম চালাব। এতে দুই-তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে। সবাই যদি রাজি হই লোড কমাব, তাহলে কিছু গ্যাস রিলিজ হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

BFIU finds NI Mazumder’s money laundering links

Nazrul Islam Mazumder, chairman of Nassa Group and a close associate of deposed prime minister Sheikh Hasina, has been accused of trade-based money laundering amounting to Tk 16,000 crore by the Bangladesh Financial Intelligence Unit.

11h ago