পুলিশের 'অতি উৎসাহীদের' তালিকা তৈরি করতে বললেন আমির খসরু

অতি উৎসাহী পুলিশের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেই সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত এবং সমাবেশে আসতে যারা বাধা দিয়েছেন তাদের নিয়েও তালিকা করতে বলেছেন তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: স্টার

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেই সঙ্গে গতকাল যারা পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছেন তাদের তালিকা করতে বলেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নুর আহমদ সড়কের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় সমাবেশ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের তালিকা করছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, যে সমস্ত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছে — নেতা-কর্মীদের বলব আপনারা তালিকা করুন। গতকাল যারা বাধা দিয়েছে, আক্রমণ করেছে, ভাঙচুর করেছে, নেতা-কর্মীদের আহত করেছে তাদের লিস্ট করুন।'

তিনি আরও বলেন, 'অতি উৎসাহী পুলিশ যারা এভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে, পুলিশের আইন লঙ্ঘন করে, দেশের আইন লঙ্ঘন করে তাদেরকেও আমাদের মাথায় রাখত হবে।'

আমির খসরু বলেন, 'পুলিশের কিছু অংশ যারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করেছে, বাস আসতে বাধা দিয়েছে, হেনস্থা করেছেন তাদেরকে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের সংবিধান সভাসমিতিসহ যে অধিকারগুলো জনগণকে দিয়েছে এই পুলিশগুলো কি তা অবগত নন? আমি তাদেরকে বলব, চাকরিতে ঢোকার আগে যে সংবিধানের ওয়াদা করে চাকরিতে ঢুকেছিল, সেগুলো আবার একটু পড়ে দেখার জন্য। তারা যদি আবার পড়ে না দেখে, এ কাজ করতে থাকে, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। কিছু অতি উৎসাহী লোকের দায় কেন পুরো পুলিশ বাহিনী বহন করবে? কেন বদনাম নিবে?'

সরকারের সমালোচনা করে আমির খসরু বলেন 'মানুষ যদি সিদ্ধান্ত নেয় দেশের জনগণ যদি সিদ্ধান্ত নেয় কোনো শক্তি বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। গতকালের মহাসমাবেশ এটি প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের আন্দোলনে মাইলফলক তৈরি করেছে।'

নেতা-কর্মীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'আমাদের নেতা-কর্মীরা পূর্ণ ধৈর্য দেখিয়েছেন। তাদের স্যালুট করতে হয়। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ সহিংস হলেও তারা ধৈর্য দেখিয়েছে। এটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে সব সময়। তারা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চায় আর আমরা দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণতন্ত্রের পথে থাকব, যারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তারাই সহিংস পথে থাকবে। জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের মানুষের।'

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে গণতন্ত্র এবং নাগরিকের স্বাধীনতা কখনোই সুরক্ষিত ছিল না। তিনি সমাবেশ সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।'

নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ৫০ জন নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

'যারা বিনা ওয়ারেন্টে, বিনা কারণে, আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন, নির্যাতন করছেন আমরাও তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো। তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব। এবার ছাড় দেওয়া হবে না,' বলে হুঁশিয়ার করেন শাহাদাত।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ভিপি জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago